মেরুঘূর্ণির কথা সংবাদ বা নিউজে প্রায় উঠে আসছে। বিজ্ঞানীরা এটি নিয়ে বেশ উদ্বিগ্ন। গত বছরে বিজ্ঞানীরা দাবি করছেন যে মেরু অঞ্চলের তাপমাত্রার খুব দ্রুত পরিবর্তিত হচ্ছে। নিউ হেম্পারশায়ারে এরকম একটি ঘটনার সম্মুখীন হয় সবাই যেখানে হঠাৎ করে পরিবেশ অনেক বেশি ঠান্ডা হয়ে যায়।
২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য পশ্চিম অঞ্চলে প্রচন্ড ঠান্ডায় ২১ জন মারা যায়। সেখানে এতটাই ঠান্ডা পড়েছিল যে ফুটন্ত গরম পানি বাইরের আবহাওয়ার সংস্পর্শ পেলে মুহূর্তেই বরফ হয়ে যাচ্ছিল। ১৯৭৭, ১৯৮২, ১৯৮৫, ১৯৮৯, এবং ২০১৪ সালে এরকম হিমশীতল সময়ের সাক্ষী হয়েছে আমেরিকা।
বিজ্ঞানীরা মেরুঘূর্ণির বিষয়টি নিয়ে আরো বিস্তারিত গবেষণা করছেন এবং এটির জন্য উন্নত কম্পিউটার অ্যালগরিদম মডেল, স্যাটেলাইট ও ওয়েদার বেলুন ব্যবহার করছেন। মেরুঘূর্ণির সময় হঠাৎ করে আবহাওয়া পরিবর্তন হয় এবং পরিবেশ প্রচন্ড ঠান্ডা হয়ে আসে।
জলবায়ু পরিবর্তন এবং পৃথিবীর উষ্ণতা বৃদ্ধি পাবার কারণে এ ধরনের বিপর্যয়কর ঘটনা ঘটছে। এ কারণে মধ্য অঞ্চলের সাথে মেরু অঞ্চলের তাপমাত্রার পার্থক্য কমে যাচ্ছে। দক্ষিণ অঞ্চলে বৃদ্ধি পাচ্ছে মেরু অঞ্চলের বাতাস প্রবাহ।
মেরুঘূর্ণির ফলে তীব্র ঠান্ডা, তুষারপাত, শীতকালীন ঝড় ইত্যাদি ঘটনা ঘটতে পারে। এই ধরনের ঘটনা এমন জায়গায় ঘটতে পারে যা ওই অঞ্চলের মানুষ কখনো উপলব্ধি করতে পারেনি। মেরুর্ঘূণি ছোট ছোট অঞ্চলে ভাগ হয়ে যেতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।