স্পোর্টস ডেস্ক: পিএসজিতে লিওনেল মেসির ফর্মটা কথা বলছে না পক্ষে। ১৬টি লিগ ম্যাচে ২ গোল করেছেন, যা তার মানের তো নয়ই, গড়পড়তা ইউরোপীয় ফরোয়ার্ডদের চেয়েও কম। এমন পারফর্ম্যান্সের কারণে প্যারিসে তার জনপ্রিয়তা নেমে যাচ্ছে তরতর করে। সংবাদ মাধ্যম, কিংবদন্তি তো বটেই, নিজ দলেই চক্ষুশূল হয়ে দাঁড়িয়েছেন তিনি। এমনকি ফরাসি সংবাদ মাধ্যম জানাচ্ছে, প্রকাশ্যেই এবার মেসিকে অপদস্থ হতে হয়েছে। আর্জেন্টাইন অধিনায়ককে জনসম্মুখে ধমক দিয়েছেন তার পিএসজি সতীর্থ।
ফরাসি সংবাদ মাধ্যমে মেসির সমালোচনাটা নতুন কিছু নয়। রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে ম্যাচে তিনি পেনাল্টি মিস করেছিলেন, এরপর লেকিপে তাদের ম্যাচ রেটিংয়ে তাকে দিয়েছিল ১০ নম্বর থেকে মাত্র ৪। কিলিয়ান এমবাপের গোলে সেদিন জিতেছিল দল। এরপরও সমালোচনা থেকে বাঁচতে পারেননি আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।
ম্যাচে অবশ্য মেসির উপস্থিতি ছিল বেশ। নেইমার এমবাপেকে বেশ কিছু গোলের সুযোগ এনে দিয়েছিলেন তিনি। এরপরও তার ফিনিশিং, গোল করার ক্ষমতা নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাচ্ছে বেশ। বার্সেলোনা ক্যারিয়ারের সঙ্গে তুলনা চলে আসছে হরহামেশাই।
ফরাসি সংবাদ মাধ্যম এবার জানাচ্ছে, তার পিএসজি সতীর্থ দানিলো পেরেইরা জনসম্মুখেই ধমক দিয়েছেন তাকে। বার্সেলোনা, আর্জেন্টিনা জাতীয় দলে ক্যারিয়ারের শেষ দিকে তিনি তেমন একটা রক্ষণাত্মক দায়িত্ব পালন করেন না। এখন যেমন পিএসজিতেও করছেন না। দেখা যায় প্রতিপক্ষ প্রতি আক্রমণে উঠে যাচ্ছে পিএসজি রক্ষণে, লিওনেল মেসি ঠায় দাঁড়িয়ে আছেন প্রতিপক্ষ অর্ধে।
এ দৃশ্যের দেখা মিলেছে রিয়াল মাদ্রিদের বিপক্ষে পিএসজির হোম ম্যাচেও। সেই ম্যাচেই ঘটেছে ঘটনাটা। মেসি রিয়াল মাদ্রিদ অর্ধে বল হারিয়েছিলেন। এরপর সেটা পুনরায় দখলে নেওয়ার কোনো চেষ্টাই করেননি তিনি। যার ফলে রিয়াল মাদ্রিদ অবলীলায় উঠে যাচ্ছিল আক্রমণে। শেষমেশ ভিনিসিয়াস জুনিয়রকে ফাউল করে সে যাত্রায় দলকে রক্ষা করেছিলেন দানিলো। তাতে হলুদ কার্ডও দেখতে হয়েছিল তাকে।
সে কারণেই দানিলো মেজাজ হারিয়ে ফেলেছিলেন মাঠে। মেসি বল হারানোর পর কেন রিয়াল মাদ্রিদ থেকে বলটা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেননি সে কারণে তাকে রীতিমতো ধমকে দিচ্ছিলেন, জানাচ্ছে ফরাসি সংবাদ মাধ্যম।
গোলে অবদান নেই, এখন যদি তার কারণে রক্ষণেও ঝামেলার সৃষ্টি হয়, সেক্ষেত্রে তাকে ‘বোঝা’ মনে করাটা খুবই স্বাভাবিক তার দলের। সেটা দলের কেউ মুখ ফুটে না বললেও সাবেক পিএসজি ফরোয়ার্ড জেরোম রোদেঁ ঠিকই বলে ফেললেন, ‘দলের জন্য সে একটা বোঝা। তার প্রথম মাসগুলো ভালো কাটেনি। পিএসজির সঙ্গে মেসির সম্পর্কটা সফলতার ধারে কাছেও নেই। তার দলবদলের ভাবনাটা খুবই বাজে ছিল।’
তিনি জানান, মেসিকে সমালোচনার বাইরে রাখাটা মোটেও মেনে নিতে পারেন না তিনি। বলেন, ‘সে সেরা খেলোয়াড়, সম্ভবত ইতিহাসেরই সেরা। কিন্তু মানুষ যখন বলে আপনি মেসির সমালোচনা করতে পারবেন না, তখন আমার মেজাজ খারাপ হয়।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।