গত বুধবার সরেজমিনে রাজধানীর মিরপুর-১২-তে সুমাত্রা ফিলিং স্টেশনে গিয়ে কথা হয় দায়িত্বরত কর্মকর্তাদের সঙ্গে। সুমাত্রা ইভি চার্জিং স্টেশনের দায়িত্বরত প্রকৌশলী মো. সাঈদ আহমেদ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রচারণা কম থাকায় বৈদ্যুতিক গাড়িগুলো চার্জ দিতে তেমনভাবে আসছে না। তাই গাড়ি আমদানিকারক ও বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে প্রচারণা বাড়াতে কাজ করতে হবে সংশ্লিষ্ট বিদ্যুৎ বিতরণ কম্পানিকে। তাহলে দ্রুত দেশে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহারও বাড়বে এবং গাড়ি চার্জিংয়ের জন্য মানুষও স্টেশনে আসবে। আমাদের এখানে চার ধরনের চার্জিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এতে সব ধরনের ইলেকট্রিক গাড়ি ও হাইব্রিড গাড়িগুলো চার্জ দিতে পারবে।’
মো. সাঈদ আহমেদ বলেন, ‘আমাদের ফাস্ট চার্জিংয়ের মাধ্যমে এক ঘণ্টারও কম সময়ে একটি গাড়ির ৮০ শতাংশ পর্যন্ত চার্জ দেওয়া সম্ভব। জ্বালানি তেলের ব্যয়ের তুলনায় বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহারে ব্যয় অনেক সাশ্রয়ী। বৈদ্যুতিক চার্জে গাড়ি প্রতি কিলোমিটার চালাতে খরচ পড়বে প্রায় তিন টাকার মতো। দেশে যেসব বৈদ্যুতিক গাড়ি চলছে সেগুলো একবার পুরোপুরি চার্জিংয়ে সর্বোচ্চ ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে। তবে এটি সম্পূর্ণ নির্ভর করে গাড়ির ব্যাটারির ক্যাপাসিটির ওপর।’
বাংলাদেশে সর্বপ্রথম বৈদ্যুতিক গাড়ি (প্রাইভেট কার) উৎপাদন করে বাজারজাত শুরু করে পালকি মোটরস। প্রতিষ্ঠানটি ২০২২ সালের জুন থেকে দেশে বাজারজাত করছে।
ইলেকট্রিক ভেহিকল (ইভি) ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক ও পালকি মোটরসের সিইও মোস্তফা আল মমিন বলেন, ‘দেশের বাজারে আমরা এরই মধ্যে অর্ধশতাধিক গাড়ি বিক্রি করেছি। আমাদের বৈদ্যুতিক গাড়ি ১৫০ কিলোমিটার চালাতে মাত্র ১২০ টাকা খরচ হয়। যার কারণে ক্রেতার কাছ থেকে বেশ ভালো সাড়া পাচ্ছি। এখন টেসলা, অডিসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানও ইলেকট্রিক গাড়ি বাজারজাত করছে।’ মোস্তফা আল মমিন বলেন, ‘দেশে জ্বালানি সাশ্রয়ী ও পরিবেশবান্ধব ইলেকট্রিক গাড়ির ব্যবহার বাড়াতে হলে ইলেকট্রিক গাড়ির সব ধরনের যন্ত্রাংশ আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে হবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।