জুমবাংলা ডেস্ক : দেশব্যাপী আলোচিত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হ’ত্যা মা’মলার ১ নম্বর আ’সামি মেহেদী হাসান (রাসেল)। তিনি বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক। গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের সালথা উপজেলার রাংগারদিয়া গ্রামে। বাবা মো. রুহুল আমিন ও মা ঝর্না আমিন। রুহুল আমিন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে ওয়ারেন্ট অফিসার ছিলেন। রাসেল বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৩তম ব্যাচের ছাত্র ও বুয়েটের শেরেবাংলা হলের ৩০১২ নং কক্ষের শিক্ষার্থী।
আরবার হ’ত্যাকাণ্ডের পরেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও গণমাধ্যমে প্রকাশিত সিসিটিভি ফুটেজে হ’ত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সঙ্গে মেহেদী হাসানকে দেখা যায়। জানা গেছে, রুহুল আমিন ও ঝর্না আমিনের ৪ ছেলেমেয়ের মধ্যে সবার বড় মেহেদী। রাসেলের ছোট বোন জান্নাতী মিম গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। আর এক বোন গ্রামের যোগারদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণির ছাত্রী আর ছোট ভাই একই স্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্র।
আবরার ফাহাদ হ’ত্যায় গ্রেফতার হওয়ার পর মেহেদী হাসান রাসেলের মা ঝর্ণা বেগম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার ছেলে ষড়যন্ত্রের শিকার। আমার ছেলে কাউকে হ’ত্যার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে- এটা আমি বিশ্বাস করতে পারি না।’ রাসেলের বাবা রুহুল আমিন বলেন, ‘সামান্য বেতনে চাকরি করে ছেলেকে বুয়েটে ভর্তি করাতে পেরেছিলাম বলে নিজেকে ধন্য মনে করছিলাম। মাঝপথে এসে এমন একটা দুর্ঘটনার শিকার হবে এটা আমার কল্পনারও বাইরে।’
ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিরোধিতা করে শনিবার (৫ অক্টোবর) বিকেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন ফাহাদ। এর জের ধরে রবিবার রাতে শেরেবাংলা হলের নিজের ১০১১ নম্বর কক্ষ থেকে তাকে ডেকে নিয়ে ২০১১ নম্বর কক্ষে বেধড়ক পেটানো হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃ’ত্যু হয়। পি’টুনির সময় নি’হত আবরারকে ‘শিবিরকর্মী’ হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালায় খু’নিরা। তবে আবরার কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন না বলে নিশ্চিত করেছেন তার পরিবারের সদস্যসহ সংশ্লিষ্টরা।
এ ঘটনায় ১৯ জনকে আ’সামি করে তার বাবা চকবাজার থানায় সোমবার রাতে একটি হ’ত্যা মা’মলা করেন। বুয়েট কর্তৃপক্ষ একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে। পাশাপাশি গঠন করেছে একটি তদন্ত কমিটিও। এরই ধারবাহিকতায় গত সোমবার (৭ অক্টোবর) রাতে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ হ’ত্যার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার অভিযোগে মেহেদী হাসান রাসেলসহ বুয়েট ছাত্রলীগের ১১ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হয়েছে।
এদিকে আবরার হ’ত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগে বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক ও বুয়েট সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র অমিত সাহাকে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর সবুজবাগ কালিবাড়ী এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। দুপুর ১২টার দিকে আবরারের রুমমেট মো. মিজানুর রহমান ওরফে মিজানকে বুয়েটের শের-ই-বাংলা হলের-১০১১ নম্বর রুম থেকে তুলে নিয়ে গেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।