অর্থনীতি ডেস্ক: করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব জুড়ে লকডাউন পরিস্থিতির করণে জ্বালানি তেলের চাহিদা ও দাম কমে যাওয়ায় বিশ্বের তেল রপ্তানিকারক দেশগুলোর সংগঠন ওপেক এবং রাশিয়াসহ এর সহযোগী দেশসমূহ উৎপাদন ১০ শতাংশ কমিয়ে আনতে একমত হয়েছে। খবর: বিবিসি বাংলার।
এ যাবৎকালে তেলের উৎপাদন কমানোর এটিই সর্বোচ্চ রেকর্ড। পয়লা মে থেকে এটি কার্যকর হবে। রবিবার (১২ এপ্রিল) এক ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনার পর এ চুক্তি হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (৯ এপ্রিল) ভিডিও কনফারেন্সে আলোচনায় ওপেক প্লাস অর্থাৎ ওপেক ও সহযোগী দেশসমূহ এই চুক্তির পরিকল্পনার কথা জানায়, কিন্তু সে সময় মেক্সিকো এতে ভেটো দেয়।
নতুন চুক্তির ব্যাপারে ওপেক এখনো ঘোষণা দেয়নি, কিন্তু সদস্য রাষ্ট্রগুলোর অনেকেই আলাদা আলাদা করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। এখন কেবল এটুকু নিশ্চিত করা করা হয়েছে যে, ওপেক ও এর সহযোগী দেশগুলো তেলের উৎপাদন দিনে ৯৭ লক্ষ ব্যারেল কমিয়ে দেবে।
এদিকে, সোমবার (১৩ এপ্রিল) এশিয়ার বাজারে তেলের মূল্য ব্যারেল প্রতি এক ডলার করে বেড়েছে। হালকা অপরিশোধিত তেলের মূল্য ব্যারেল প্রতি প্রায় ৩৩ মার্কিন ডলারে উঠেছে, আর সেই সঙ্গে মার্কিন বাজারে ব্যারেল প্রতি ২৪.১৫ ডলারে উঠেছে দাম।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং কুয়েতের জ্বালানি মন্ত্রী ডা. খালেদ আলী মোহাম্মেদ আল-ফাদহেল টুইট করে চুক্তির ব্যাপারে জানিয়েছেন।
অন্যদিকে সৌদি জ্বালানি মন্ত্রণালয় এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা তাস রোববার ভিন্ন ভিন্নভাবে চুক্তির খবর নিশ্চিত করেছে।
ডা. আল-ফাদহেলে টুইটে বলা হয়েছে, আল্লাহর অসীম রহমতে শুক্রবার রাত থেকে চলা আলোচনার পরে, আমরা এখন এক ঐতিহাসিক চুক্তিতে সম্মত হয়েছি। আগামী মে মাসের প্রথম দিন থেকে ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলো দৈনিক প্রায় এক কোটি ব্যারেল কম তেল উৎপাদন করবে।
করোনাভাইরাস মহামারি আকারে দেখা দেবার ফলে সারা বিশ্বে ৩০০ কোটির বেশি মানুষ লকডাউনে থাকায় গত কয়েকমাসে জ্বালানি তেলের চাহিদা এক তৃতীয়াংশ হ্রাস পেয়েছে।
এর আগে মার্চ মাসে তেলের দাম গত ১৮ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে নামে। এর মূল কারণ ছিল সৌদি আরব এবং রাশিয়ার মত ভিন্নতার কারণে ওপেক প্লাসভুক্ত দেশগুলো উৎপাদন কমানোর ব্যাপারে একমত হতে পারছিল না।
কিন্তু এপ্রিলের দুই তারিখে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইঙ্গিত দেন যে মত ভিন্নতার অবসান ঘটতে যাচ্ছে। এদিকে, ওপেক প্লাসভুক্ত দেশের এই চুক্তির বাইরেও যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ব্রাজিল এবং নরওয়েও মে মাস থেকে তেলের উৎপাদন পাঁচ শতাংশ হ্রাস করবে।
তবে চুক্তিতে বলা হয়েছে, জুলাই থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে দৈনিক উৎপাদন কমানো হবে প্রতিদিন ৮০ লাখ ব্যারেল করে। ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২২ সালের এপ্রিল পর্যন্ত কমানো হবে ৬০ লাখ ব্যারেল করে।
Get the latest Zoom Bangla News first — Follow us on Google News, Twitter, Facebook, Telegram and subscribe to our YouTube channel.