নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি: নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলপর ফতুল্লায় রিকশার গ্যারেজ মাহজন শাকিল হত্যায় ও আরো তিনজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করার মামলায় বুলেট নামে এক যুবক আদালতে দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।
বুধবার সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আহমেদ হুমায়ন কবীরের আদালত তার জবানবন্দি রেকর্ড করেছেন।
কোর্ট পুলিশের এসআই কামাল হোসেন এর সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বুলেটের জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী অফিসার ফতুল্লা মডেল থানার এসআই মিজানুর রহমান বুধবার জানান, ২৭ জুলাই ফতুল্লার দেওভোগ হাশেমবাগ এলাকায় রিকশার গ্যারেজ মহাজন শাকিলকে কুপিয়ে হত্যা ও সজিব, সুভাষ এবং শাওনকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এদের মধ্যে বুলেট আদালতে দায় স্বীকার করে বলেছে, সে ইয়াবা ব্যাবসায়ী তুহিনের বডিগার্ড হিসেবে কাজ করতো। বিভিন্নস্থানে ইয়াবা সাপ্লাই দিতো এবং ইয়াবা বিক্রির টাকা কালেকশন করতো। ঘটনার দিন তুহিনসহ প্রায় ২০ জন বাংলাবাজার এলাকা থেকে মাদক বিক্রির টাকা কালেকশন করে দেওভোগের দিকে পায়ে হেটে যাচ্ছিল। এসময় হাশেমবাগ এলাকায় আসা মাত্র একটি মোটর সাইকেলের আলো সকলের চোঁখে পড়ে। তখন তুহিন মোটরসাইকেল আরোহীকে থামায় এবং গালাগাল করে মারধর করতে থাকে। এক পর্যায়ে মোটরসাইকেল আরোহী দ্রুত মোটরসাইকেল চালিয়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে ধাওয়া করে এলোপাথাড়ি কোপায়।
এসময় আশপাশের লোকজন ছুটে আসলে রিকশার গ্যারেজ থেকে শাকিল ও সজিবও এগিয়ে এসে প্রতিবাদ করে। তখন ক্ষিপ্ত হয়ে সকলে শাকিল, সজিব ও শানকে ধরে এবং দুজন মিলে তাদের তিনজনকে কোপায়। এরপর যে যার মতো চলে যায়।
উল্লেখ্য, ঘটনার সময় সুভাষ শহরের ২নং রেলগেইট এলাকা থেকে বাংলাবাজার এলাকায় নিজ বাড়িতে মোটরসাইকেল চালিয়ে ফেরার পথে প্রথমে তার সঙ্গে এ ঘটনা ঘটে। সুভাষের মোটরসাইকেলের আলোই তুহিন ও তার বন্ধুদের চোঁখে পড়ে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।