জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেবের সোমবারের বক্তব্য প্রমাণ করে, নৈরাজ্য সৃষ্টির অপচেষ্টা তাদের বৃহত্তর পরিকল্পনার অংশ।’ তিনি বলেন, ‘এগুলো নরেন্দ্র মোদির আগমনের কারণে করা হয়নি, বরং সরকারবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ডের অংশ হিসেবে দেশে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার জন্যই এগুলো করা হয়েছে।’
আজ সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময়ের শুরুতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন। ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদের নেতৃত্বে সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ আলম খান তপু, সাংগঠনিক সম্পাদক এ জিহাদুর রহমান জিহাদ, প্রচার সম্পাদক আছাদুজ্জামান, নির্বাহী সদস্য সুরাইয়া অনু, রাজন ভট্টাচার্য্য, হেমায়েত হোসেন প্রমুখ মতবিনিময়ে অংশ নেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন রোববার হরতাল শেষ হয়ে যাওয়ার পর নারায়ণগঞ্জে ৯টি বাস-ট্রাকে আগুন দেয়া হয়েছে। রাস্তার ওপর দেয়াল তুলে দেয়া হয়েছে। এগুলোর পক্ষ নিয়েছে বিএনপি এবং তাদের তথাকথিত কয়েকজন বুদ্ধিজীবী, যাদের বুদ্ধিজীবী বলতে আমার লজ্জা হচ্ছে, তারাও বিবৃতি দিয়েছে। এর আগে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর দিনে জনগণের ও সরকারি সম্পত্তির ওপর হামলা আমাদের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বের ওপর হামলারই সামিল, যেটিতে সমর্থন দিয়েছে বিএনপি-জামাত। একইসাথে সুর মিলিয়ে আজকে যখন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বলেন যে, তারা সরকার পতনের আন্দোলন ডাক দিবেন, তখন এই সমস্ত নৈরাজ্যগুলো তাদের পরামর্শে ও পৃষ্ঠপোষকতায় হয়েছে, এটিই প্রমাণিত হয়।’