Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home মোবাইলের ক্ষতিকর প্রভাব: যখন ডিজিটাল বন্ধু পরিণত হয় নীরব শত্রুতে
    প্রযুক্তি ডেস্ক
    Technology News বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

    মোবাইলের ক্ষতিকর প্রভাব: যখন ডিজিটাল বন্ধু পরিণত হয় নীরব শত্রুতে

    প্রযুক্তি ডেস্কTarek HasanJuly 3, 20258 Mins Read
    Advertisement

    রাত ২টা। ঢাকার ধানমন্ডির একটি ফ্ল্যাটে ১৬ বছর বয়সী আরাফাতের চোখ আঠার মতো লেগে আছে স্মার্টফোন স্ক্রিনে। গেমের লেভেল ক্লিয়ার করতে গিয়ে সে টেরই পায়নি ঘড়ির কাঁটা কতটা এগিয়েছে। সকালে উঠতেই তীব্র মাথাব্যথা, চোখে অসহ্য জ্বালা। স্কুলের ইউনিফর্ম পরতে গিয়ে হঠাৎ ঝাঁকুনি দিয়ে বমি। ডাক্তারি পরীক্ষায় ধরা পড়ল ‘সাইবার সিকনেস সিনড্রোম’ আর ‘ডিজিটাল আই স্ট্রেন’। এরকম হাজারো আরাফাত আজ বাংলাদেশের ঘরে ঘরে, যাদের জীবন গ্রাস করছে এক অদৃশ্য শত্রু। মোবাইলের ক্ষতিকর প্রভাব শুধু স্বাস্থ্যেই নয়, ভেঙে দিচ্ছে পারিবারিক বন্ধন, কেড়ে নিচ্ছে শিশুদের নির্মল শৈশব, আর তৈরি করছে এক উদ্বেগগ্রস্ত প্রজন্ম। এই ডিজিটাল যুগে আমরা কি সত্যিই বুঝতে পারছি, প্রতিদিন হাতে ধরা এই যন্ত্রটিই কীভাবে পরিণত হচ্ছে ধীরগতির বিষে? গবেষণা বলছে, গড়ে একজন বাংলাদেশি এখন দৈনিক ৫ ঘন্টা ৩০ মিনিট স্মার্টফোন ব্যবহার করেন – যা গত পাঁচ বছরে বেড়েছে ৭০%। কিন্তু এই আসক্তি আমাদের দেহ ও মনে কী ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে, তা জানা জরুরি এখনই!

    মোবাইলের ক্ষতিকর প্রভাব

    মোবাইলের ক্ষতিকর প্রভাব: শারীরিক স্বাস্থ্যে ধ্বংসাত্মক ছোবল (H2)

    মোবাইল ফোনের নীল আলো (ব্লু লাইট) সরাসরি আঘাত হানে আমাদের চোখের রেটিনায়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চক্ষু বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. এ কে এম জাকির হোসেন সতর্ক করেন, “স্মার্টফোন থেকে নির্গত HEV রশ্মি ম্যাকুলার ডিজেনারেশন ঘটায়, যা অন্ধত্বের ঝুঁকি বাড়ায়। গত তিন বছরে বাংলাদেশে ‘ড্রাই আই সিনড্রোমে’ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েছে ২০০%। বিশেষ করে শিশুদের চোখের লেন্স বেশি স্বচ্ছ হওয়ায় তাদের ঝুঁকি মারাত্মক।” চোখ ছাড়াও:

    • গর্ভবতী নারী ও ভ্রূণের ঝুঁকি: আইসিডিডিআর,বি-র গবেষণা মতে, মোবাইলের উচ্চ মাত্রার রেডিওফ্রিকোয়েন্সি (আরএফ) রশ্মি গর্ভস্থ শিশুর স্নায়বিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। রাজধানীর প্রসূতি হাসপাতালগুলোতে গর্ভপাতের অস্বাভাবিক হার এর সাথে ডিজিটাল ডিভাইসের অতিরিক্ত ব্যবহারের সম্পর্ক খুঁজে পাচ্ছেন গবেষকরা।
    • ক্যান্সারের সম্ভাবনা: বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) মোবাইল ফোনকে “সম্ভাব্য কার্সিনোজেন” (গ্রুপ ২বি) তালিকাভুক্ত করেছে। যদিও গবেষণা চলমান, তবুও দীর্ঘক্ষণ ফোন কানে রাখা বা শরীরের সংস্পর্শে রাখা এড়ানো উচিত।
    • ‘টেক নেক’ ও হাড়ের ক্ষয়: সারাদিন নিচু মাথায় ফোন ব্যবহারের ফলে সার্ভিকাল স্পাইনে চাপ পড়ে। এটি ‘টেক্স নেক’ সিনড্রোম ডেকে আনে, যা থেকে ঘাড়, কাঁধ ও মেরুদণ্ডে তীব্র ব্যথা, এমনকি স্থায়ী বিকলাঙ্গতাও হতে পারে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থোপেডিক বিভাগের ডাটা বলছে, ৩০ বছরের নিচে যাদের বয়স, তাদের মধ্যে ৪০% এখন দীর্ঘস্থায়ী ঘাড়ব্যথায় ভুগছেন – যার মূল কারণ স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার।
    • ঘুমের ব্যাঘাত ও হরমোনাল বিপর্যয়: স্মার্টফোনের নীল আলো মেলাটোনিন হরমোন উৎপাদন ব্যাহত করে, যা অনিদ্রা (ইনসোমনিয়া) ডেকে আনে। ক্রনিক ঘুমের অভাব ডায়াবেটিস, স্থূলতা, হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।

    গুরুত্বপূর্ণ তথ্য: বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)-র সাম্প্রতিক জরিপে উঠে এসেছে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬৮% শিক্ষার্থী রাত ১২টার পরও সক্রিয়ভাবে স্মার্টফোন ব্যবহার করেন, যার সরাসরি প্রভাব পড়ছে তাদের একাডেমিক পারফরম্যান্সে।

    মানসিক স্বাস্থ্যের উপর মোবাইলের ক্ষতিকর প্রভাব: অদৃশ্য বিষাদ (H2)

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল সাইকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. মেহজাবিন হক বলছেন, “মোবাইল আসক্তি এখন ‘ডিজিটাল হিরোইন’। এটি মস্তিষ্কের ডোপামিন নিঃসরণ বাড়িয়ে তীব্র মানসিক নির্ভরতা তৈরি করে। বিশেষ করে কিশোর-কিশোরীরা ‘ফিয়ার অব মিসিং আউট’ (FOMO) তে ভুগে সারাক্ষণ ফোন চেক করছে, যা উদ্বেগ-হতাশা (অ্যাংজাইটি-ডিপ্রেশন) বাড়াচ্ছে ভয়াবহ হারে।”

    • সামাজিক বিচ্ছিন্নতা ও সম্পর্কের অবনতি: পারিবারিক আড্ডা, বন্ধুদের সাথে সরাসরি যোগাযোগের জায়গা দখল করছে ভার্চুয়াল জগৎ। চট্টগ্রামের এক গবেষণায় দেখা গেছে, ৭২% দম্পতি স্বীকার করেছেন যে মোবাইল ফোন তাদের দাম্পত্য জীবনে দূরত্ব সৃষ্টি করেছে। শিশুরা বাবা-মায়ের চেয়ে ফোনকেই বেশি ‘বন্ধু’ ভাবতে শিখছে।
    • মনোযোগের সংকট (অ্যাটেনশন ডেফিসিট): বারবার নোটিফিকেশন, মাল্টিটাস্কিং মস্তিষ্কের ফোকাস ক্ষমতা নষ্ট করে দিচ্ছে। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগ ধরে রাখতে কষ্ট হচ্ছে, উৎপাদনশীলতা কমে যাচ্ছে অফিসে।
    • সাইবার বুলিং ও মানসিক আঘাত: ফেসবুক, মেসেঞ্জারে বুলিং, হেয়প্রচার,尤其是 মেয়েদের যৌন হয়রানির ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে। নারায়ণগঞ্জের এক কলেজছাত্রী রিমা (ছদ্মনাম) সাইবার বুলিংয়ের শিকার হয়ে ডিপ্রেশনে চলে যান, প্রায় আত্মহত্যার পথও বেছে নিয়েছিলেন।
    • ‘লাইক’ এর জন্য হাহাকার ও আত্মসম্মানবোধে আঘাত: সোশ্যাল মিডিয়ায় লাইক-কমেন্টের সংখ্যা অনেকের আত্মমূল্যবোধ নির্ধারণ করছে! অপ্রাপ্তিতে তৈরি হচ্ছে হীনমন্যতা, হতাশা।

    শিশুদের উপর ভয়াবহ প্রভাব: ভেঙে যাচ্ছে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম (H3)

    ডাঃ সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নেতৃত্বে জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের এক গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে: যেসব শিশু দিনে ২ ঘন্টার বেশি স্মার্টফোন/ট্যাব ব্যবহার করে, তাদের মধ্যে ৫৫%-এর ভাষা বিকাশ বিলম্বিত হচ্ছে, ৬০%-এর সোশ্যাল স্কিল মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। স্ক্রিনের সামনে সময় কাটানো শিশুরা বাস্তব জগতের খেলায় অনাগ্রহী, আবেগ নিয়ন্ত্রণে দুর্বল, এবং সহিংস আচরণ প্রদর্শনের ঝুঁকিতে থাকে।

    ডিজিটাল নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক ক্ষতি: অদৃশ্য শিকারী (H2)

    মোবাইল আসক্তি শুধু স্বাস্থ্যই নয়, ডুবিয়ে দিচ্ছে অর্থনৈতিক সুরক্ষাও।

    • ফিন্যান্সিয়াল স্ক্যাম ও ডেটা চুরি: ভুয়া অ্যাপ, ফিশিং লিংক, ফেক কাস্টমার কেয়ারের মাধ্যমে প্রতিদিন হাজারো মানুষ প্রতারিত হচ্ছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য মতে, ২০২৩ সালে মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এর মাধ্যমে স্ক্যামের শিকার হয়েছেন প্রায় ৪২,০০০ ব্যবহারকারী, ক্ষতির পরিমাণ ১৫০ কোটি টাকারও বেশি!
    • প্রোডাক্টিভিটির পতন: অফিসে বা পড়াশোনার সময় ঘনঘন মোবাইল চেক করা, সোশ্যাল মিডিয়া ব্রাউজিং উৎপাদনশীলতা কমিয়ে দিচ্ছে। আন্তর্জাতিক গবেষণা বলছে, কর্মক্ষেত্রে এটি বছরে ৩০% উৎপাদনশীলতা হ্রাস করে।
    • ‘নোমোফোবিয়া’ (No Mobile Phobia): ফোনের ব্যাটারি ফুরিয়ে গেলে বা নেটওয়ার্ক না পেলে তীব্র উদ্বেগ ও আতঙ্ক কাজ করে – এটি এখন স্বীকৃত মানসিক ব্যাধি।

    মোবাইল রেডিয়েশনের ঝুঁকি: বিজ্ঞান কী বলে? (H2)

    মোবাইল ফোন থেকে নির্গত ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন (EMR) নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিনের। যদিও সরাসরি ক্যান্সারের প্রমাণ এখনো চূড়ান্ত নয়, তবে আন্তর্জাতিক এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার (IARC) রেডিওফ্রিকোয়েন্সি ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক ফিল্ডকে “সম্ভাব্য মানব কার্সিনোজেন” (Group 2B) হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করেছে। সতর্কতা হিসাবে:

    • SAR ভ্যালুর দিকে খেয়াল করুন: যেকোনো মোবাইলের ‘স্পেসিফিক অ্যাবজর্পশন রেট’ (SAR) চেক করুন। বিটিআরসি-র গাইডলাইন অনুযায়ী, এটি ১.৬ ওয়াট/কেজি-এর নিচে থাকা উচিত।
    • কানে স্পিকার বা হেডফোন ব্যবহার করুন: সরাসরি কানে ফোন ধরে দীর্ঘক্ষণ কথা বলা কমিয়ে আনুন।
    • রাতে ফোন দূরে রাখুন: শোবার ঘরে, বিশেষ করে বালিশের নিচে ফোন রাখা বিপজ্জনক।

    উদীয়মান ভয়: মেটাভার্স, ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ও নতুন আসক্তি (H2)

    গেমিং এবং মেটাভার্সের দুনিয়ায় ডুবে থাকা তরুণ প্রজন্ম এখন নতুন ধরনের আসক্তির মুখোমুখি। ‘গেমিং ডিসঅর্ডার’ এখন WHO স্বীকৃত মানসিক রোগ। ভার্চুয়াল জগতের প্রতি অতিরিক্ত আকর্ষণ বাস্তব জীবন থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিচ্ছে হাজারো মানুষকে, তৈরি করছে নতুন সামাজিক সমস্যা।

    প্রতিকার: ডিজিটাল ডিটক্সের পথে যাত্রা (H2)

    মোবাইলের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই। জেনে নিন কার্যকর কৌশল:

    ব্যক্তিগত অভ্যাসে পরিবর্তন (H3)

    • ২০-২০-২০ নিয়ম: প্রতি ২০ মিনিট স্ক্রিন ব্যবহারের পর ২০ সেকেন্ডের জন্য ২০ ফুট দূরের কোনো বস্তুর দিকে তাকান।
    • নাইট মোড ও ব্লু লাইট ফিল্টার: সূর্যাস্ত পর স্ক্রিনে ব্লু লাইট ফিল্টার চালু করুন।
    • স্রিন টাইম লিমিট: আইফোনের ‘স্ক্রিন টাইম’ বা অ্যান্ড্রয়েডের ‘ডিজিটাল ওয়েলবিং’ টুল ব্যবহার করে ডেইলি লিমিট সেট করুন।
    • ‘নো ফোন জোন’ তৈরি করুন: খাবার টেবিল, শোবার ঘর, গোসলখানা ফোনমুক্ত রাখুন।
    • বাস্তব সম্পর্ককে প্রাধান্য: পরিবার ও বন্ধুদের সাথে মানসম্পন্ন সময় কাটান, ফোন সরিয়ে রেখে।

    পারিবারিক ও সামাজিক উদ্যোগ (H3)

    • শিশুর জন্য মডেল হোন: বাবা-মা নিজে কম ফোন ব্যবহার করলে শিশুরাও শিখবে।
    • বিকল্প খেলার ব্যবস্থা: শিশুকে বাইরের খেলা, বই পড়া, শিল্পচর্চায় উৎসাহিত করুন।
    • স্কুল-কলেজে সচেতনতা কর্মসূচি: ডিজিটাল লিটারেসি কারিকুলামে যোগ করতে হবে মোবাইলের সঠিক ব্যবহার ও ঝুঁকি সম্পর্কে শিক্ষা।
    • কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপ: যারা অতিরিক্ত আসক্তিতে ভুগছেন, তাদের জন্য কাউন্সেলিং ও সাপোর্ট সিস্টেম তৈরি করুন।

    (No Heading – Final Paragraph)
    মোবাইল ফোন আজ জীবনযাপনের অপরিহার্য অংশ, কিন্তু এর মোবাইলের ক্ষতিকর প্রভাব যে আমাদের দেহ, মন, সম্পর্ক, এমনকি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের ভিত্তিকেও ক্ষয় করছে – তা অস্বীকার করার উপায় নেই। প্রতিটি অসহ্য মাথাব্যথা, ঘাড়ে ব্যথা, শিশুর বিকাশগত বিলম্ব, পারিবারিক দূরত্বের নীরব কান্না, আর উদ্বেগে কুঁকড়ে যাওয়া তরুণ প্রাণ এই ডিজিটাল যুগের নির্মম সত্যি। কিন্তু এই যন্ত্রকে পরাস্ত করতে হবে না, বরং এর সচেতন, পরিমিত ও দায়িত্বশীল ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। মনে রাখুন, এই পকেটে রাখা সুপারকম্পিউটারটি যেন আমাদের নিয়ন্ত্রণ না করে, বরং আমরা যেন তা দক্ষতার সাথে নিয়ন্ত্রণ করি। আজই একটি ছোট পদক্ষেপ নিন: রাতের খাবারের টেবিলে ফোনটি সাইলেন্ট মোডে রাখুন, প্রিয়জনের চোখে চোখ রেখে কথা বলুন, শিশুকে নিয়ে পার্কে হাঁটতে যান। প্রযুক্তিকে দাসে পরিণত করুন, প্রভুতে নয়। আপনার এই একটি সচেতন সিদ্ধান্তই রক্ষা করতে পারে আপনার চোখের দৃষ্টি, আপনার সন্তানের সুস্থ ভবিষ্যৎ, আর আপনার পরিবারের অমূল্য সম্পর্ক। সময় এসেছে জেগে উঠবার, সাবধান হোন এখনই!

    ভালো অভিভাবক হবার গুণাবলি: কেন আপনার সন্তানের ভবিষ্যৎ নির্মাণে এটি অপরিহার্য?

    জেনে রাখুন (H2)

    ১. শিশুদের জন্য দিনে কতক্ষণ মোবাইল/স্ক্রিন টাইম নিরাপদ?
    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) ও আমেরিকান একাডেমি অফ পেডিয়াট্রিক্সের নির্দেশিকা অনুযায়ী, ২ বছরের নিচে শিশুদের কোনো স্ক্রিন টাইম না দেওয়াই উত্তম। ২-৫ বছর বয়সী শিশুরা দিনে সর্বোচ্চ ১ ঘন্টা উচ্চমানের শিক্ষামূলক কনটেন্ট দেখতে পারে, তবে বাবা-মায়ের সাথে ইন্টার্যাক্টিভভাবে। ৬ বছরের ঊর্ধ্বে স্ক্রিন টাইম সীমিত ও মনিটরিং জরুরি।

    ২. মোবাইলের নীল আলো (ব্লু লাইট) থেকে চোখ রক্ষার উপায় কী?
    সন্ধ্যার পর ডিভাইসে বিল্ট-ইন ‘নাইট শিফ্ট’ বা ‘ব্লু লাইট ফিল্টার’ চালু করুন। এন্টি-গ্লেয়ার স্ক্রিন প্রটেক্টর ব্যবহার করতে পারেন। চশমা ব্যবহারকারীরা ব্লু লাইট ব্লকিং লেন্স নিতে পারেন। প্রতি ঘন্টায় স্ক্রিন থেকে চোখ সরিয়ে কিছুক্ষণ বিশ্রাম দিতে ভুলবেন না।

    ৩. মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন থেকে নিজেকে কীভাবে সুরক্ষিত রাখব?
    কানে স্পিকার ফিচার বা হেডফোন ব্যবহার করুন। ফোন কানে ধরে দীর্ঘক্ষণ কথা বলা এড়িয়ে চলুন। ফোনে সিগনাল কম থাকলে (কম বার থাকলে) ব্যবহার কম করুন, কারণ তখন বেশি রেডিয়েশন নির্গত হয়। ফোন শরীরের সংস্পর্শে (পকেটে, ব্রা-তে) না রেখে ব্যাগে রাখার চেষ্টা করুন।

    ৪. মোবাইল আসক্তি (নোমোফোবিয়া) কাটানোর কার্যকরী টিপস কী?
    প্রথমে নিজের স্ক্রিন টাইম ট্র্যাক করুন (অ্যাপ ব্যবহার করে)। ধীরে ধীরে ব্যবহারের সময় কমিয়ে আনুন। নির্দিষ্ট সময়ে ফোন নোটিফিকেশন বন্ধ রাখুন। বাস্তব জীবনের শখ (গান, বই পড়া, বাগান করা, ব্যায়াম) বাড়ান। ফোন ছাড়াই কিছু সময় কাটানোর চ্যালেঞ্জ নিন (যেমন: দিনে ১ ঘন্টা ‘ডিজিটাল ডিটক্স’)।

    ৫. ঘুমের আগে মোবাইল ব্যবহার ক্ষতিকর কেন?
    স্মার্টফোন স্ক্রিনের নীল আলো মস্তিষ্কে মেলাটোনিন নামক ঘুমের হরমোনের নিঃসরণ বাধাগ্রস্ত করে। এটি প্রাকৃতিক ঘুম চক্র (সার্কাডিয়ান রিদম) নষ্ট করে, ফলে ঘুম আসতে দেরি হয়, ঘুমের গুণগত মান কমে এবং পরদিন ক্লান্তি ও মনোযোগের অভাব দেখা দেয়। ঘুমানোর কমপক্ষে ১ ঘন্টা আগে সব স্ক্রিন ডিভাইস থেকে দূরে থাকা উচিত।

    ৬. বাংলাদেশে সাইবার ক্রাইমের শিকার হলে কী করব?
    বাংলাদেশ পুলিশের হটলাইন ৯৯৯ এ কল করুন অথবা নিকটস্থ থানায় জিডি/মামলা করতে পারেন। এছাড়া জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ অ্যাপ বা ডিজিটাল সিকিউরিটি এজেন্সি (ডিএসএ) এর ওয়েবসাইটে অভিযোগ দায়ের করা যেতে পারে। প্রয়োজনে সাইবার ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের সাথে যোগাযোগ করুন। প্রমাণ হিসাবে স্ক্রিনশট, কনভারসেশন লগ সুরক্ষিত রাখুন।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘ও digital detox mental health mobile phone hazards news nomophobia technology ক্ষতিকর ঘাড়ে ব্যথা চোখের সমস্যা টেকনলজির ক্ষতিকর দিক ডিজিটাল ডিজিটাল আসক্তি থাকুন, নীরব নীল আলোর ক্ষতি পরিণত প্রভাব প্রযুক্তি ফোন বন্ধু বাংলাদেশ বিজ্ঞান মোবাইল রেডিয়েশন মোবাইলের মোবাইলের ক্ষতিকর প্রভাব মোবাইলের শারীরিক ক্ষতি যখন শত্রুতে শিশু ও মোবাইল সাইবার সিকনেস স্ক্রিন টাইম ম্যানেজমেন্ট স্মার্টফোনের নেতিবাচক প্রভাব হয়,
    Related Posts
    গ্রোক এআই

    ছবি থেকে ভিডিও বানানোর ফিচার আনল এক্সের গ্রোক এআই

    August 17, 2025
    Elon Musk's Grok in Chess Game

    দাবা খেলায় ইলন মাস্কের গ্রক এআইকে হারিয়ে দিলো ওপেন এআই

    August 17, 2025
    Samsung Galaxy S23 Ultra 5G

    Samsung Galaxy S23 Ultra 5G বাংলাদেশে ও ভারতে দাম বিস্তারিত স্পেসিফিকেশনসহ

    August 17, 2025
    সর্বশেষ খবর
    ভিসা ছাড়াই

    ৫টি দেশে ভিসা ছাড়াই ঘুরে আসতে পারেন, খরচও অনেক কম

    Garena Free Fire redeem codes

    Garena Free Fire Max Redeem Codes – August 17, 2025: Unlock Free Skins & Diamonds 

    DMP

    ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে আটক রিকশাচালকের জামিন, ওসির ব্যাখ্যা তলব

    woody plants grow a garden

    Woody Plants in Grow a Garden: Full List, Rarity, and How to Get Them for Beanstalk Event Progress

    মুখে ব্রণের দাগ দূর করার উপায়

    মুখে ব্রণের দাগ দূর করার উপায়: প্রাকৃতিক সমাধান!

    গ্রোক এআই

    ছবি থেকে ভিডিও বানানোর ফিচার আনল এক্সের গ্রোক এআই

    ইউটিউব শর্টস ভাইরাল করার কৌশল

    ইউটিউব শর্টস ভাইরাল করার কৌশল: সহজে ভিউ বাড়ানোর টিপস

    Elon Musk's Grok in Chess Game

    দাবা খেলায় ইলন মাস্কের গ্রক এআইকে হারিয়ে দিলো ওপেন এআই

    Realme P4 Pro

    Realme P4 Pro Set to Launch on August 20 with Dual-Chip Design, 144Hz AMOLED Display, and 7000mAh Battery

    Bank

    দুর্বল ব্যাংক ধুঁকছে, ২০টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান একীভূত

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.