মোবাইল ফোনের রেডিয়েশন হলো, মোবাইল ফোন নেটওয়ার্কের জন্য, টেলিকম সংস্থাগুলো বিভিন্ন এলাকায় প্রয়োজন অনুসারে টাওয়ার স্থাপন করে।
এই টাওয়ারগুলোর বিকিরণ হচ্ছে রেডিয়েশন। সরাসরি আমাদের সংস্পর্শে আসে না, তাই এটি শরীরের উপর খুব কম বিরূপ প্রভাব ফেলে। কিন্তু ফোন আমাদের সঙ্গে প্রায় থাকে ২৪ ঘণ্টাই।
স্মার্টফোনের একটা প্যারামিটার হলো রেডিয়েশন লেভেল। ফোনের মধ্যে থাকা ট্রান্সমিটিং ডিভাইস থেকে সব সময় নির্গত হয় অদৃশ্য রেডিও ফ্রিকোয়েন্সি তরঙ্গ।
সেই তরঙ্গ নিঃসরণের হার একটি নির্দিষ্ট মাত্রা অবধি আমাদের শরীরের তেমন ক্ষতি করে না। কিন্তু এই রেডিয়েশন লেভেল মাত্রাতিরিক্ত হলে, মারাত্মক প্রভাব পড়ে আমাদের শরীরে।
ফোন থেকে নির্গত রেডিয়েশন শরীরের উপর খারাপ প্রভাব ফেলে। রেডিয়েশন মস্তিষ্ক এবং হৃদয় উভয়ই বিরূপ প্রভাব ফেলে। এই কারণে হৃদস্পন্দন অনিয়মিত হতে পারে এবং মস্তিষ্কের স্মৃতিশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এছাড়া ক্যানসার, আর্থ্রাইটিস, আলঝাইমার্স এবং হৃদরোগের মতো মারাত্মক রোগের ঝুঁকি উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পায়।
ফোন থেকে নির্গত বিকিরণ এসএআর মান দিয়ে পরিমাপ করা হয়। এসএআর (সিন্থেটিক অ্যাপারচার রাডার) মানে নির্দিষ্ট শোষণ হার। নির্ধারিত সীমা অনুযায়ী, ফোনের রেডিয়েশন মাত্রা প্রতি কিলোগ্রামে ১.৬ ওয়াটের বেশি হওয়া উচিত নয়। যদি আপনার ফোনের এসএআর মান এই সীমার বেশি হয়, তাহলে ফোনটি স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভালো নয়।
রেডিয়েশন কমাতে মোবাইল ফোন ভালো কেসে রাখুন। দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা বলা এড়িয়ে চলুন। কারণ দীর্ঘক্ষণ ফোনে কথা বলার ফলে বিকিরণ মস্তিষ্কের কোষেও প্রভাব ফেলে।
দুর্বল সংকেতের সময় ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক রেডিয়েশন সবচেয়ে বেশি হয়। অতএব বেসমেন্ট বা লিফটের মতো জায়গায় ফোন কল করা এড়িয়ে চলা উচিত।
সূত্র: দ্য ভার্জ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।