বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) বিকেলে গ্রেপ্তারকৃতরা নোয়াখালী চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলি আদালতের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম নবনীতা গুহের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন, বেগমগঞ্জ উপজেলার কেন্দুরবাগ গ্রামের জামাল উদ্দিনের ছেলে ইয়াছিন আরাফাত (২৬) ও একই এলাকার আবদুল মালেকের ছেলে রাসেল (২৪)।
নিহতের বাবা শাহ আলম বলেন, গত মঙ্গলবার সকালে কাউকে কিছু না জানিয়ে শাহনাজ তার ব্যবহৃত একটি মোবাইল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। দিন পেরিয়ে রাত হলেও সে বাড়িতে ফিরে না আসায় তিনি চাঁদপুর সদর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন।
গ্রেপ্তারকৃত ইয়াছিন আরাফাতের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, সিএনজি অটোরিকশা চালক ইয়াছিন আরাফাতের সঙ্গে শাহনাজ আক্তারের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে সম্পর্ক হয়। এই সম্পর্কের সূত্র ধরে একাধিকবার মেয়েটি চাঁদপুর থেকে বেগমগঞ্জ এসে ইয়াছিনের সঙ্গে দেখা করে।
মঙ্গলবার দুপুরে শাহনাজ ইয়াছিনের সঙ্গে দেখা করতে কেন্দুরবাগ আসে। তাদের মধ্যে সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিতর্ক হয়। একপর্যায়ে মঙ্গলবার রাত ৩টার সময় আরাফাত কৌশলে শাহনাজকে কেন্দুরবাগ খন্দকার স’মিলের পেছনের নির্মাণাধীন একটি তিনতলা ভবনের ছাদে নিয়ে নিয়ে যায়। এরপর তার বন্ধু রাসেলের সহযোগিতায় ব্লেড দিয়ে শাহনাজের গলা কেটে হত্যা শেষে লাশ বস্তাবন্দি করে সিএনজিতে সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের সালেহপুর-রাজগঞ্জ-বেগমগঞ্জ পাকা সড়কের পাশে ডোবায় ফেলে পালিয়ে যায়। বুধবার সকালে পুলিশ বস্তাবন্দি অবস্থায় অজ্ঞাতপরিচয় হিসেবে শাহনাজের লাশ উদ্ধার করে।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নবীর হোসেন বলেন, বেগমগঞ্জ থানা পুলিশের সহযোগিতায় বৃহস্পতিবার সকালে কেন্দুরবাগ এলাকা থেকে ইয়াছিন ও রাসেলকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় নিহতের বাবা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, মামলা দায়েরের ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সম্পূর্ণ ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের খুনিদের দ্রুত সময়ের মধ্যে গ্রেপ্তার ও আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি করায় সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।