জুমবাংলা ডেস্ক: টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার বীরবাসিন্দা ইউনিয়ের আটাপাড়া গ্রামে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ির সামনে অনশনে বসে এক স্কুলছাত্রী। বৃহস্পতিবার (২৯ জুলাই) দুপুরে খবরটি জানাজানি হলে তাকে অনশন ভাঙতে বাধ্য করা হয়। অভিযুক্ত ব্যক্তি ওই গ্রামের ছাত্তার তালুকদারের ছেলে সাজ্জাত তালুকদার।
জানা গেছে, এক সপ্তাহ অতিবাহিত হওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে সাড়ে ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে তা ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা চলছে। কিন্তু জরিমানার সাড়ে ৪ লাখ টাকা মেয়ের পরিবারকে না দিয়ে পাইকড়া ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিনসহ স্থানীয় মাতব্বররা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়রা জানায়, উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাত তালুকদারের সঙ্গে স্কুল পড়ুয়া এক ছাত্রীর সঙ্গে ৬ মাস আগে মোবাইলের মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরবর্তী সময়ে তা শারীরিক সম্পর্কে রূপ নেয়। এক পর্যায় স্কুলছাত্রী সাজ্জাতকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। সাজ্জাত বিয়ে করতে অনীহা প্রকাশ করে। পরে গত ১৯ জুলাই ওই স্কুলছাত্রী সাজ্জাত তালুকদারের বাড়িতে গিয়ে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করে। এদিকে এলাকায় জানাজানি হওয়ার আগেই উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাত তালুকদারের চাচাতো ভাই বীরবাসিন্দা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজহারুল ইসলাম মাসুদ ছাত্রীকে তার বাড়িতে নিয়ে যান।
পরে বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হলে গত সোমবার সালিশি বৈঠক হয়। সেখানে সাড়ে চার লাখ টাকার বিনিময়ে মীমাংসা করা হয়। কিন্তু স্কুল ছাত্রীকে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দিলেও তার পরিবারকে টাকা দেয়া হয়নি।
অভিযোগ রয়েছে ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিন, মেয়ে পক্ষের মাতব্বর মোস্তফা, মনজু, আদম ব্যবসায়ী হারুন জরিমানার টাকা আত্মসাৎ করেছেন।
তথ্য রয়েছে, আপোষ মীমাংসা পত্রে সকলের স্বাক্ষর নেয়া হলেও মেয়ে স্বাক্ষর দেয়নি। ইউপি সদস্য জালাল উদ্দিনসহ মাতব্বররা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্য মেয়ের ইচ্ছার বিরুদ্ধে সমাধান করেছে। বিষয়টি নিয়ে আটাপাড়া গ্রাম ও মেয়ের গ্রামে সমালোচনার ঝড় বইছে।
এ বিষয়ে ইউপি জালাল উদ্দিন, মাতাব্বর মোস্তফা কোন মন্তব্য করতে রাজি হয়নি। আর আদম ব্যবসায়ী হারুনের বাড়িতে গিয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
সাজ্জাতের বাবা ছাত্তার তালুকদার বলেন, মীমাংসার সময় আমি ছিলাম না। তবে বিষয়টি আমার ভাতিজা ইউপি সদস্য মাসুদকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। আর জরিমানার টাকাগুলো তার হাত দিয়েই মাতব্বরদের কাছে দেয়া হয়েছে।
বীরবাসিন্দা ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজহারুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ঈদের পরে গত সোমবার মেয়ের গ্রামে বসে সাড়ে ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে। আপোষ মীমাংসার জন্য স্ট্যাম্পে সকলের স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে। মীমাংসার পরদিন আমার ছোট ভাই উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাত তালুকদার চাকরির কর্মস্থল বড়গুনায় চলে গেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



