আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ ইসলাম ধর্ম ও মুসলিম জনগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যে সুস্পষ্ট অবস্থান নিয়েছেন তা তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের জন্য বুমেরাং হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন একজন গবেষক।
তিউনিশিয়ার স্ট্রাটেজিক স্টাডিজ সেন্টারের পরিচালক আহমাদ আল-বারকাভি এ মন্তব্য করে বলেছেন, ম্যাক্রোঁ ইসলাম-বিদ্বেষী অবস্থান গ্রহণ করে ফ্রান্সের উগ্র ডানপন্থিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সাম্প্রতিক আঞ্চলিক পরিষদের নির্বাচনে তার দল বড় ধরনের ভরাডুবির সম্মুখীন হয়েছে। খবর: পার্সটুডে।
এর আগে ম্যাক্রোঁ কথিত মত প্রকাশের স্বাধীনতার অজুহাতে ফ্রান্সসহ বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশের পত্রিকায় ইসলাম অবমাননাকর কার্টুন প্রকাশের পক্ষ নিয়েছেন। এমনকি এ ধরনের অবমাননাকর চিত্র প্রকাশের বিরুদ্ধাচরণকারীদের ‘উগ্রবাদী’ আখ্যা দিয়ে তাদেরকে দমন করারও হুমকি দিয়েছেন।
ফ্রান্সের পার্লামেন্টেও এমন ইসলাম-বিদ্বেষী আইন পাস করা হয়েছে যার মাধ্যমে সরকার দেশটির ধর্মীয় স্কুল ও ধর্মীয় উপাসনালয়গুলো বন্ধ করে দিতে পারে। এছাড়া, ওই আইনের ভিত্তিতে প্যারিসের দৃষ্টিতে যেসব বক্তব্য উগ্রবাদী চিন্তাধারা প্রচার করে তাও তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দেয়া যাবে।
ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে ফ্রান্সে সবচেয়ে বেশি মুসলমান বসবাস করেন। দেশটির ছয় কোটি ৭০ লাখ জনসংখ্যার মধ্যে ৫০ লাখের বেশি মুসলমান। অথচ দেশটিতে মুসলমানদের ওপর সীমাবদ্ধতা ও কড়াকড়ি আরোপ করে সবচেয়ে বেশি আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনগুলো মনে করছে, ইউরোপ জুড়ে ইসলাম-বিদ্বেষী চিন্তাধারা ছড়িয়ে পড়ার জন্য ফ্রান্সে প্রণয়ন করা ইসলাম-বিদ্বেষী আইন এবং প্যারিস সরকারের মুসলিম বিরোধী আচরণ অনেকাংশে দায়ী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।