মোহাম্মদ আল আমিন : যমুনা নদীর নিচ দিয়ে তৈরি হবে দেশের দ্বিতীয় টানেল। এই টানেল প্রকল্পের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ে নথিপত্র প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে চীনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ। একই সাথে আরও সাতটি প্রকল্পের কাজেও গতি আনার অনুরোধ জানানো হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
যমুনা নদীতে টানেল ছাড়াও অন্য সাতটি প্রকল্প হলো-এলজিইডি আওতাধীন অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের আওতায় শুল্ক আদায়ে ৯টি মোবাইল স্ক্যানিং সিস্টেম প্রকল্প, প্রযুক্তি ব্যবহার করে আর্সেনিক প্রশমন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের অধীনে বস্ত্র ও পাট সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক প্রদের্শনী ও প্রচার প্রকল্প, প্রযুক্তি ও মাদ্রাসা বিভাগের অধীনে বেসরকারি বৃত্তিমূলক প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা বৃদ্ধি, ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমান্ড, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে যানবাহনের একটি প্রকল্প, চীন বাংলাদেশ বন্ধুত্ব বৃদ্ধিতৈ একটি পেশাদার কেন্দ্র তৈরি প্রকল্প ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে উন্নয়ন প্রকল্প।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চলতি বছরের মে মাসে যমুনা নদীর নিচে টানেল নির্মাণে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য চীনকে প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ। প্রকল্পটি বাস্তবায়নে ১২২ কোটি ৯৭ লাখ টাকা ব্যয় হবে। টানেল নির্মাণের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক ও কারিগরি সম্ভাব্যতার জন্য বিশদ আর্থিক ও প্রকৌশলগত কর্মকাণ্ড পরিচালনা করবে চীন।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, যমুনা নদীর প্রশস্ততা অনেক বেশি হওয়ায় এ নদীতে টানেল নির্মাণ কর্ণফূলী টানেলের মতো সহজ হবে না। বর্ষাকালে এর প্রস্থ প্রায় ৮-১৩ কিলোমিটার হয়। এ নদী দিয়ে গড়ে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় সাড়ে ১৯ হাজার ঘনমিটার পানি প্রবাহিত হয় এবং প্রায় ৬০০ মিলিয়ন টন পলি বহন করে থাকে।
এ প্রসঙ্গে আলাপকালে নাম প্রকাশ না করার শর্তে অর্থ মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, বর্তমান সরকার যমুনায় টানেলের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া দ্রুত সম্পাদনের জন্য চীনের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, চীনের রাষ্ট্রপতি শি জিনপিং ২০১৬ সালে বাংলাদেশে সফরকালে সব মিলে ২৭টি মূল প্রকল্পের জন্য ১৪ বিলিয়ন ডলার প্রদান করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো।
Get the latest Zoom Bangla News first — Follow us on Google News, Twitter, Facebook, Telegram and subscribe to our YouTube channel.