জুমবাংলা ডেস্ক : যশোরের বেনাপোল ও শার্শায় ৬ বছর ও ৫ বছর বয়সী দুটি শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আজ সোমবার একজন কওমি মাদ্রাসার শিক্ষকসহ দুই জনকে আটক করেছে পুলিশ।
জানা যায়, গত শনিবার (২৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় শার্শার রামপুর গ্রামে একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে ৬ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটে। এ অভিযোগে রামপুর গ্রামের শাহাজান আলীর ছেলে সাগর হোসেন (১৫) নামে এক কিশোরকে আটক করেছে পুলিশ।
আসামি সাগর হোসেনকে আটক ও মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি বদরুল আলম। তাকে থানা হাজতে রাখা হয়েছে।
শার্শার উলাশী ইউনিয়নের রামপুর গ্রামের ইউপি সদস্য কবির হোসেন জানান, ঘটনাটি জানার পর তাৎক্ষণিকভাবে মেয়েটির বাবা-মাকে থানায় পাঠিয়ে মামলা করা হয়েছে (মামলা নম্বর-২৯ তারিখ-২৩/০১/২০২১)।
অপরদিকে, ৫ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে বেনাপোল দারুস সালাম কওমি মাদ্রাসার ৪ জন শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ থানায় নিয়ে এসেছে। এদের মধ্যে ৩ জনকে ছেড়ে দিয়ে একজনকে আটক রাখা হয়েছে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভবেরবেড় গ্রামের ওই শিশুর পিতা অভিযোগ করার পর শিশুকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। শিশুর পিতা বলেন, তার মেয়ের রক্তক্ষরণ হচ্ছে। সে রোববার সকাল ৯টায় মাদ্রাসায় পড়তে যায়। সবাইকে ছুটি দিয়ে ওই মাদ্রাসায় নতুন যোগদান করা এক শিক্ষক তার মেয়েকে ধর্ষণ করেছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
শিশুটি জানায়, ‘নতুন হুজুর তার সাথে খারাপ কাজ করেছ’। এই অভিযোগে ওই মাদ্রাসার ৪ শিক্ষককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। পরে একজনকে রেখে বাকী ৩ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত হুজুরের নাম জানতে চাইলে ওই মাদ্রাসার জনৈক শিক্ষক বলেন, তার নাম হাফেজ সালমান। হাফেজ সালমানের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে অস্বীকার করে বলেন, তিনি ঘটনার সাথে জড়িত নন।
এ বিষয়ে বেনাপোল পোর্ট থানার এসআই রোকন উদ্দিন বলেন, শিশুটিকে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। শিশুটি সুস্থ হওয়ার পর ধর্ষণকারীকে শনাক্ত করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।