জুমবাংলা ডেস্ক : যশোরে বাসের মধ্যে এক তরুণী যাত্রীকে (২৫) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার (৮ অক্টোবর) দিবাগত গভীর রাতে যশোর সদর উপজেলার বকচর এলাকায় এম কে পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের (যশোর-ব ১১-০১২৪) ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত মনিরকে (৩২) আটক ও আরও পাঁচ পরিবহন শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবাদে জন্য থানায় নিয়ে আসে।
পুলিশ বলছে এটি গণধর্ষণের ঘটনা নয়। এমকে পরিবহনের বাসটিও জব্দ করেছে পুলিশ। ধর্ষিত ওই তরুণী যশোর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
স্বামী পরিত্যক্তা নির্যাতিত তরুণী রাজশাহীর একটি ক্লিনিকে চাকরি করেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার আগে তিনি বাবার বাড়ি মাগুরাতে আসার জন্য রাজশাহী থেকে এমকে পরিবহনের একটি বাসে উঠেন।
ভুক্তভোক্তি ওই তরুণী সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজশাহীর বহদ্দার মোড় থেকে যশোরে আসার উদ্দেশ্যে তিনি বাসে ওঠেন। এরপর ঘুমিয়ে পড়েন। পরে তাকে বাসের মধ্যে পালাক্রমে তিনজন ধর্ষণ করে। এরপর পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় জড়িতদের আটক ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নির্যাতিত তরুণী।
কোতয়ালি থানার ওসি মনিরুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, গতকাল রাত আড়াইটার দিকে যশোরের বকচর কোল্ড স্টোরেজ এলাকা থেকে নির্যাতিত ওই তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ। ওই তরুণীর সাথে আটক বাসের হেলপার মনিরের সর্ম্পক ছিল। মেয়েটি মনিরের সাথে যোগাযোগ করে রাজশাহী থেকে যশোর আসে এবং তারা বাসের মধ্যে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে। অপর বাস শ্রমিকরা বিষয়টি দেখে পুলিশকে খবর দিলে তারা মেয়েটিকে উদ্ধার করে। এ সময় তারা অভিযুক্ত মনির ও ঘটনাস্থলে থাকা আরো পাঁচ বাস শ্রমিককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসেন। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে এবং এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
এ বিষয়ে যশোর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক জাহিদ হাসান হিমেল বলেন, তাকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।