জুমবাংলা ডেস্ক :3 দেশে যোগাযোগ ব্যবস্থার অগ্রগতির সঙ্গে নতুন মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে যানবাহনের গতি। উন্নত প্রশস্ত সড়কে লাগামহীন বিভিন্ন গাড়ির ছুটে চলা এখন যেন নিয়মে পরিণত হয়েছে। এক ধরনের অসুস্থ প্রতিযোগিতার মধ্যে বন্দি হয়ে পড়েছেন চালক, এমনকি যাত্রীরাও। সেইসঙ্গে বেড়েই চলেছে দুর্ঘটনাও।
এমন বাস্তবতায় দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনার লাগাম টানতে যানবাহনের সর্বোচ্চ গতিসীমা বেঁধে দিয়েছে সরকার।
গত ৫ মে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের জারি করা মোটরযান গতিসীমা সংক্রান্ত নির্দেশিকা-২০২৪ অনুযায়ী, জাতীয় মহাসড়ক ও এক্সপ্রেসওয়েতে প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাস, বাস-মিনিবাস ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিলোমিটার গতিতে চলবে। মোটরসাইকেলের ক্ষেত্রে এক্সপ্রেসওয়েতে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার, জাতীয় মহাসড়ক ও জেলা সড়কে ৫০ কিলোমিটার গতি রাখতে হবে। আর উপজেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় সর্বোচ্চ ৩০ কিলোমিটার গতিতে মোটরসাইকেল চালাতে হবে।
সড়ক মহাসড়কে প্রবর্তিত নতুন এই গতিসীমাকে সাধারণ যাত্রীরা স্বাগত জানালেও চালকদের মধ্যে রয়েছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। বিশেষ করে মোটরসাইকেল চালকদের। নতুন নীতিমালা অনুযায়ী উপজেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকার মধ্যে মোটরসাইকেলের জন্য বেঁধে দেয়া সর্বোচ্চ গতিসীমা ৩০ কিলোমিটারকে অযৌক্তিক বলছেন বাইকাররা।
মোটরসাইকেল চালকদের কেউ কেউ জানালেন, নতুন আইন জানেন না। আবার কেউ জানালেন, এটা অযৌক্তিক, ৩০ কিলোমিটার গতিতে গাড়ি চালানো আর অন্য যানবাহনে চলাচল করা একই। তাহলে মোটরসাইকেল চালিয়ে লাভ কী! আরেকজন জানালেন, বাইক স্টার্ট দিতেই ৪০ কিলোমিটার ওঠে যায়। এত কম গতিসীমায় চালানো অসম্ভব।
এদিকে দুর্ঘটনার লাগাম টানতে গতিসীমা কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, আন্তর্জাতিক মানদণ্ড মেনে প্রবর্তিত গতিসীমা মেনে চলার বিকল্প নেই।
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) অ্যাক্সিডেন্ট রিসার্চ ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক কাজী মো. সাইফুন নেওয়াজ বলেন, বাইকের গতিসীমা ৩০ কিলোমিটার আর অন্য যানবাহনের ৪০ কিলোমিটার। সে জায়গায় তো কিছুটা এডজাস্টমেন্ট হতে পারে। আর গতিসীমার এই সেটটা করা হয়েছে বৈশ্বিক নিয়ম অনুযায়ী।
বাইকের নির্ধারিত গতি ঠিক রেখে শহরে চলাচলরত অন্য যানবাহনের গতি সমন্বয় করা যেতে পারে বলেও জানান এই অধ্যাপক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।