চলতি বছর এখন পর্যন্ত ২৮ হাজার ৭৬ জন অভিবাসী ছোট নৌকায় ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ব্রিটেনে প্রবেশ করেছে। যা ২০২৪ সালের একই সময়ের তুলনায় ৪৬ শতাংশ বেশি।
সোমবার (২৫ আগস্ট) প্রকাশিত এক পরিসংখ্যান বলছে প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের অভিবাসন নীতির ওপর চাপ বাড়িয়েছে। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
তথ্য অনুযায়ী, রোববার আরও ২১২ জন অভিবাসী চারটি ভিন্ন নৌকায় করে ব্রিটেনে পৌঁছানোর পর এই নতুন রেকর্ড গড়ে ওঠে।
অভিবাসন নিয়ে জনমত ক্রমশ উদ্বিগ্ন হয়ে উঠছে। আশ্রয়প্রার্থীদের রাখা হোটেলের বাইরে অভিবাসনবিরোধী প্রতিবাদ অব্যাহত রয়েছে। অভ্যন্তরীণ মন্ত্রণালয় বা হোম অফিস এ বিষয়ে মন্তব্যের অনুরোধের তাৎক্ষণিক কোনও জবাব দেয়নি।
গত সপ্তাহে লন্ডনের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের এপিং এলাকার একটি হোটেল থেকে আশ্রয়প্রার্থীদের সরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আদালতের রায়ের পর, সপ্তাহান্তে পুরো ব্রিটেন জুড়ে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
স্টারমারের নেতৃত্বাধীন লেবার সরকার ২০২৯ সালের মধ্যে হোটেল ব্যবহারের প্রথা পর্যায়ক্রমে বন্ধ করার এবং আশ্রয় ব্যবস্থা সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। রবিবার সরকার আশ্রয় আপিল দ্রুততর করা এবং এক লাখের বেশি মামলার জট কমানোর জন্য সংস্কার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছে।
গত সপ্তাহে প্রকাশিত সরকারি তথ্য দেখিয়েছে যে আশ্রয়ের আবেদন রেকর্ড পরিমাণে বেড়েছে এবং আগের বছরের তুলনায় বেশি সংখ্যক অভিবাসীকে হোটেলে রাখা হচ্ছে।
গত ৪ বছরে বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে আফগানি মুদ্রার মান বেড়েছে ২১%
ডানপন্থি রিফর্ম ইউকে দলের নেতা নাইজেল ফারাজ, যাদের দল সাম্প্রতিক ভোট জরিপে শীর্ষে রয়েছে, ছোট নৌকায় আসা অভিবাসীদের জন্য ‘গণ নির্বাসন’ পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ব্রিটেনকে ইউরোপীয় মানবাধিকার কনভেনশন থেকে বের করে আনা, আশ্রয়ের দাবি নিষিদ্ধ করা এবং ২৪ হাজার মানুষের জন্য আটক কেন্দ্র তৈরি করা।
তিনি বলেছেন, আফগানিস্তান ও ইরিত্রিয়ার মতো দেশের সঙ্গে প্রত্যাবাসন চুক্তি করবেন এবং প্রতিদিন নির্বাসন ফ্লাইট পরিচালনা করবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।