আন্তর্জাতিক ডেস্ক : শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা গুরপতবন্ত সিং পান্নুনকে হত্যা চক্রান্তের তদন্ত একটি চলমান আইনি প্রক্রিয়া বলে উল্লেখ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। জুরির সামনে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো কথা বলবে না বলে জানিয়েছে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বিষয়টি রেডলাইন হিসাবে রয়েছে। শিখ নেতা পান্নুন যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার নাগরিক।
বৃহস্পতিবার ব্রিফিংয়ে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এ বিষয়ে বলেন, সর্বজনীনভাবে পান্নুন হত্যা নিয়ে তথ্য বা অভিযোগ রয়েছে। যতক্ষণ না জুরির সামনে বিষয়টি প্রমাণিত হচ্ছে, ততক্ষণ আমি তাদের সঙ্গে কথা বলব না। কারণ, অবশ্যই এটি একটি চলমান আইনি বিষয়। পান্নুনের মামলার তদন্ত নিয়ে গণমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে মিলার এ মন্তব্য করেন। খবর রয়টার্সের।
এর আগে গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলনে পান্নুন প্রসঙ্গে প্রশ্নের উত্তরে মিলার বলেন, ভারতের উচিত, অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে বিষয়টির তদন্ত করা। পান্নুনকে খুনের ছক কষার দায়ে আমেরিকার অনুরোধেই চেক প্রজাতন্ত্রে গ্রেপ্তার করা হয় নিখিল গুপ্ত নামে এক ভারতীয়কে। একটি চেক আদালত রায় দিয়েছেন, ৫২ বছর বয়সী নিখিলকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ করা যেতে পারে। মার্কিন বিচার বিভাগের অভিযোগ অনুযায়ী, ভারতীয় নাগরিক নিখিল গুপ্ত বর্তমানে হেফাজতে রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ভাড়াটে খুনের অভিযোগ আনা হয়েছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে তার সর্বোচ্চ ১০ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
এর আগে চেক প্রজাতন্ত্র থেকে আমেরিকায় নিখিলের প্রত্যর্পণের ওপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিলেন চেক প্রজাতন্ত্রের সর্বোচ্চ তথা সাংবিধানিক আদালত। এক রায়ে আদালত বলেছেন, নিখিলের প্রত্যর্পণ বিলম্বিত হলে জনস্বার্থের ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কোনো ক্ষতি হবে না, যতটা হবে নিখিলের নিজের। সাংবিধানিক আদালত চূড়ান্ত রায় না দেওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে চেক প্রজাতন্ত্রের আইন মন্ত্রণালয়েরও কিছু করার নেই। এই আবহে পান্নুন হত্যার ছক নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হন মিলার। সম্প্রতি ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছিল, পান্নুন হত্যার ছকে ভারতীয় গুপ্তচর সংস্থা ‘র’ জড়িত। ভারত গোড়া থেকেই বিষয়টি অস্বীকার করেছে। তবে একটি তদন্ত কমিটি গড়ার কথা জানিয়েছিল নয়াদিল্লি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।