‘যুক্তরাষ্ট্রের মতো পরিপক্ক গণতান্ত্রিক দেশে এমন হামলা সত্যিই দুঃখজনক’

জুমবাংলা ডেস্ক : মার্কিন পার্লামেন্ট ভবন ক্যাপিটল হিলে দেশটির ইতিহাসের ঘৃণ্যতম হামলাকে ‘দুঃখজনক’ বলে আখ্যা দিয়েছে ঢাকা। হামলা পরবর্তী পদক্ষেপ এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে (একই দিনে) ফের অনুষ্ঠিত কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশনে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট কমালা হ্যারিসের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি প্রদানকে ‘গণতন্ত্রের জয়’ হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ। এ বিষয়ে সন্ধ্যায় মানবজমিনকে দেয়া প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মতো পরিপক্ক গণতান্ত্রিক দেশে এমন দুর্ঘটনা (ক্যাপিটল হিল আক্রমণ) সত্যিই দুঃখজনক। কিন্তু এতো কিছুর পরও যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্রের জয় হয়েছে। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য্য। গণতন্ত্রিক ব্যবস্থায় টানাহেঁচড়া, ধস্তাধস্তি (হিকআপ) হয়, কিন্তু ক্যাপিটল হিলে যেটা হয়েছে সেটা অনাকাঙ্খিত-অনভিপ্রেত। সেখানে আইনের শাসন বিঘিœত করার অপচেষ্টা ছিল, পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টাও হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের যে ধারা তার সুরক্ষা সম্ভব হয়েছে।

যে দেশে গণতন্ত্র যতো ম্যাচিউর সে দেশে হিকআপ পরবর্তী উত্তরণ ততো তাড়াতাড়ি হয়। আইনের শাসন পুনঃপ্রতিষ্ঠার কাজটাও সহজ হয়। আইনের প্রতি জনগণের শ্রদ্ধা প্রদর্শনের বিষয়টি পরিস্কারভাবে ফুটে ওঠে। রাজনীতিতে যত ব্যবস্থা রয়েছে তার মধ্যে গণতন্ত্রই সর্বোত্তম। উল্লেখ্য, জো বাইডেনকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দিতে ডাকা মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন চলাকালে বুধবার (স্থানীয় সময় সকালে) কংগ্রেস ভবন ক্যাপিটল হিলে হামলা চালায় ট্রাম্পের উগ্র-সমর্থকরা। অস্ত্র-গুলিসহ ক’ঘন্টার তা-বে পার্লামেন্ট ভবন তাদের নিয়ন্ত্রণেই চলে যায় প্রায়। অবশ্য শেষ পর্যন্ত আক্রমণকারীরা টিকতে পারেনি, পালাতে বাধ্য হয়। অভূতপূর্ব-নজিরবিহীন এ হামলায় হতবাক গোটা দুনিয়া। দলমত নির্বিশেষে আমেরিকান রাজনীতিবিদ তো বটেই, বিশ্ব নেতারা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে অভ্যন্তরীণ রাজনীতিকে কেন্দ্র করে এমন ঘৃণিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। ওই হামলায় এ পর্যন্ত ৪ জন নিহত হওয়ার খবর মিলেছে। আটক হয়েছেন ৫২ হামলাকারী এবং উস্কানিদাতা। অবশ্য হামলা ঠেকানোর পরপরই ফের অধিবেশন বসে এবং সেখানে মার্কিন নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা শেষ হয়। পরাজিত প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প কংগ্রেসের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন। তিনি আগামী ২০শে জানুয়ারি শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের ঘোষণা দিয়েছেন।