আন্তর্জাতিক ডেস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামিতে ১২তলা ভবনধসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে নয়জনে। এখনও নিখোঁজ ১৫০ জনেরও বেশি মানুষ। তাদের সন্ধানে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। তবে সময় যত গড়াচ্ছে ভেতরে আটকেপড়াদের জীবিত উদ্ধারের আশা ততটাই ক্ষীণ হয়ে আসছে। খবর রয়টার্সের।
গত বৃহস্পতিবার স্থানীয় সময় ভোররাতে ১৫৬ ইউনিটের ওই ভবনের প্রায় অর্ধেকটা আচমকা ধসে পড়ে। ৪০ বছরের পুরোনো ভবনটিতে এমন বিপর্যয়ের কারণ এখনও নিশ্চিত নয়।
তবে ২০১৮ সালের এক নিরীক্ষায় সেটির নিচের দিকে পার্কিং গ্যারেজের অবকাঠামোতে গুরুতর সমস্যা ধরা পড়েছিল।
মায়ামির কর্মকর্তারা আশা করছেন, ধ্বংসস্তূপের নিচে তৈরি হওয়া ‘এয়ার পকেট’ থেকে আটকেপড়া ব্যক্তিদের জীবিত উদ্ধার করতে পারবেন উদ্ধারকারীরা।
তবে স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের প্রধান অ্যালান কমিনস্কি রোববার বলেছেন, তারা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে এখনো ওই ধরনের জায়গা খুঁজে পাননি।
তিনি বলেন, পরিস্থিতি খুব মারাত্মক। আমাদের উদ্ধারকারী দলগুলো যা করা সম্ভব তার সবধরনের চেষ্টা চালাচ্ছে।
উদ্ধার অভিযানে মার্কিনিদের পাশাপাশি অংশ নিয়েছেন মেক্সিকো ও ইসরায়েলের পাঠানো বিশেষজ্ঞরাও। তবে যত লোক এখনো নিখোঁজ রয়েছেন, তাতে ধারণা করা হচ্ছে, এটি হতে চলেছে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রাণঘাতী ভবনধসের ঘটনা।
এর আগে, ১৯২২ সালে ওয়াশিংটন ডিসির নিকারবকার থিয়েটারে শো চলাকালে বরফের ভারে ছাদ ভেঙে পড়ে ৯৮ জন নিহত হন।
এছাড়া ১৯৮১ সালে মিসৌরির কানসাস সিটিতে হায়াত রিজেন্সি হোটেলের লবিতে ড্যান্স পার্টি চলাকালে দুটি অভ্যন্তরীণ ওয়াকওয়ে ভেঙে প্রাণ হারান ১১৪ জন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।