জুমবাংলা ডেস্ক: গত ১৭ এপ্রিল যাত্রা শুরু করেন হরি। ৬ মে এভারেস্টের বেস ক্যাম্প থেকে যাত্রা শুরু করেন মাগার ও তার সঙ্গীরা। তারপর দীর্ঘপথ অতিক্রম করে গত বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টা নাগাদ পৌঁছান ৮ হাজার ৮৪৮ মিটারের শৃঙ্গের মাথায়। ১৯৫৩ সালে প্রথম এই শৃঙ্গ হয় করে পর্বতারোহীদের মনে স্বপ্ন জাগিয়েছিলেন তেনজিং নোরগে ও এডমুন্ড হিলারি। সেই স্বপ্নই বাস্তব করে দেখালেন ৪৩ বছর বয়সি হরি।
এই যাত্রাপথে বারবার অসহায়তা গ্রাস করেছিল কিন্তু হার মানেননি মাগার। তিনি বলেন, ‘কঠিন ছিল। আমাদের কল্পনা করার বাইরে ছিল এই যাত্রায় প্রতিকূলতা। কিন্তু শুধু ভেবেছি শীর্ষে পৌঁছাতেই হবে। যতই আঘাত আসুক না কেন, যতক্ষণ সময় লাগুক যেতেই হবে এভারেস্টের মাথায়।’
২০১০ সালে পা হারিয়ে যখন বাড়ি ফিরে আসেন হরি, তখন এক বিশাল মানসিক অবসাদ গ্রাস করেছিল তাকে। সেই অবসাদ থেকে বের হতে সাহায্য করেছিল এই এভারেস্ট জয়ের স্বপ্ন। ধীরে ধীরে নিজেকে সেই স্বপ্নপূরণ করার জন্য তৈরি করা শুরু করেন।
শারীরিক প্রতিকূলতা ছাড়াও আইনি জটিলতার কারণে বারবার ধাক্কা খেয়েছে হরির স্বপ্ন। ২০১৭ সালে এভারেস্টের ওঠার নিয়মে বদল আনা হয়। দৃষ্টিশক্তিহীন এবং দু’টি পা নেই এমন কেউ পর্বতারোহণ করতে পারবেন না। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে আদালতে ছোটেন হরি ও তার মতো মানুষেরা। সেই লড়াইয়ে সফলতা পান তারা। ২০১৮ সালে নিয়ম বাতিল হয়। তারপর কেটে গেছে ৫ বছর। অবশেষে নিজের স্বপ্নপূরণ করলেন হরি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।