আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউক্রেন পশ্চিমা সামরিক জোট ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না বলে রাশিয়া যে দাবি জানিয়েছে আসছে যুদ্ধ এড়াতে দেশটি তা মেনে নিতে পারে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত ভাদিম প্রিস্টাইকো। বিবিসিকে দেয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ খবর জানিয়েছেন।
রাশিয়া মূলত ন্যাটো ইস্যুতেই নিরাপত্তা আশঙ্কার কথা জানিয়ে ইউক্রেন সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ বাড়িয়েছে। ফলে তাদের দাবি মেনে নিলে বর্তমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে নাটকীয় মোড় আসতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইউক্রেন এখনো ন্যাটোর সদস্য নয়। তারা দীর্ঘদিন ধরে পশ্চিমা এই সামরিক জোটে যোগ দেয়ার চেষ্টা করছে। ন্যাটোর পক্ষ থেকেও কিয়েভকে বারবার আশ্বস্ত করা হয়েছে। ইউক্রেন ন্যাটের সদস্য হলে পশ্চিমা সেনারা রাশিয়া সীমান্তের আরো কাছাকাছি পৌঁছে যাবে।
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অভিযোগ, পশ্চিমা জোটের সঙ্গে ইউক্রেনের ঘনিষ্ঠতা বাড়লে দেশটি ন্যাটো ক্ষেপণাস্ত্রের ঘাঁটি হয়ে উঠতে পারে, যা হবে রাশিয়ার নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি।
এটি ঠেকাতে সম্প্রতি ইউক্রেন সীমান্তে এক লাখের বেশি সৈন্যসহ ভারী সমরাস্ত্র মোতায়েন করেছে মস্কো। রুশ সেনারা ইউক্রেনকে তিন দিন থেকে ঘিরে রেখেছে। রাশিয়া যেকোনো দিন অদ্ভুত কোনো অজুহাত তুলে সাবেক সোভিয়েত দেশটি আক্রমণ করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে ওয়াশিংটন।
এ অবস্থায় রাষ্ট্রদূত প্রিস্টাইকোর কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার ইচ্ছা থেকে কিয়েভের সরে আসার কোনো সম্ভাবনা রয়েছে কিনা। জবাবে তিনি বলেন, যেভাবে হুমকি দেয়া হচ্ছে, ব্ল্যাকমেইল করা হচ্ছে ও সেদিকে ঠেলে দেয়া হচ্ছে, তাতে আমরা সরে আসতেও পারি।
৫০০ নম্বরের মধ্যে ৪৯৯ পেয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন কাশ্মীরের মেধাবী ছাত্রী
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।