আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গত ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দেশ ইউক্রেনে সামরিক অভিযান চালাচ্ছে রুশ বাহিনী। দেশটির পূর্বাঞ্চলীয় লুহানস্ক ও ডোনেটস্ককে (যা একত্রে ডোনবাস নামে পরিচিত) স্বাধীন করার লক্ষ্যে এই অভিযান শুরু করে রাশিয়া।
এদিকে, ইউক্রেনের উপর রাশিয়ার সামরিক এই অভিযানকে সমর্থন করেন না রুশ অভিনেতা এবং মডেল জিন-মিশেল শেরবাক। তাই তাকে ত্যাজ্যপুত্র করেছেন তার মা।
মার্কিন গণমাধ্যম ‘বিজনেস ইনসাইডার’ এর এক প্রতিবেদনে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। প্রতিবেদনটিতে বার্তা সংস্থা রয়টার্সেরও বরাত দেওয়া হয়েছে। ৩০ বছর বয়সী রুশ অভিনেতা শেরবাক নিজেই ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এ দাবি করেন বলে প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
জানা গেছে, অভিনেতা এবং মডেল জিন-মিশেল শেরবাক প্রথম থেকেই ইউক্রেনের উপর রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে বারবার নেটমাধ্যমে সরবও হয়েছেন তিনি। কিন্তু ছেলের এই মনোভাব মেনে নিতে পারেননি পুতিনের একনিষ্ঠ সমর্থক তার মা। প্রকাশ্যে ছেলের নিন্দাও করেছেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছেলের চিন্তাভাবনাকে আমল দিতে না পেরে সরাসরি তাকে ত্যাজ্যপুত্র করলেন ওই নারী।
শেরবাক জানান, সম্প্রতি নেটমাধ্যমে কিয়েভ-মস্কো সংঘাত নিয়ে নিজের মত প্রকাশ করেছিলেন তিনি। সেখানে রাশিয়ার কড়া সমালোচনাও করেন শেরবাক।
তিনি আরও জানান, শিগগিরই রাশিয়া ছেড়ে চলে যাবেন তিনি। এর পরই চটে যান তার মা। নেটমাধ্যম থেকে ‘ব্লক’ করেন ছেলেকে।
একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টের মাধ্যমে শেরবাক জানান, তিনি তার মাকে কিছু অর্থ এবং একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। এরপরই দ্রুত উত্তর আসে তার মায়ের কাছে থেকে।
উত্তরে মা লেখেন, “তোমার অর্থ আমার দরকার নেই। তুমি অর্থ পাঠালে আমি তা ফেরত পাঠাব। আমি নিজের মাতৃভূমির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করা মানুষদের সঙ্গে কোনও রকম যোগাযোগ রাখি না। আমি আন্তরিকভাবে চাই যে তুমি যেন তোমার রাশিয়ার পাসপোর্ট ফেরত দাও এবং এই দেশ ছেড়ে যে দিকে খুশি চলে যাও।”
তামাক কোম্পানির মোটা অঙ্কের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেন আল্লু অর্জুন
শেরবাকের মা আরও লেখেন, “আজ থেকে তুমি আর আমার ছেলে না। আমার পরিবারে কোনও দেশদ্রোহী থাকতে পারে না।”
মায়ের এই বার্তার পর ভেঙেও পড়েন শেরবাক। বলেন, তিনি নিজের সন্তানদের সঙ্গে কখনও তার মায়ের মতো আচরণ করবেন না। তবে তার মা যখনই তার সঙ্গে কথা বলতে চাইবেন, তিনি কথা বলবেন বলেও উল্লেখ করেন শেরবাক। সূত্র: বিজনেস ইনসাইডার, রয়টার্স
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।