যুবকের সাথে ৮ মাস ধরে অস্বাভাবিক যৌনতা, আইনজীবী কারাগারে

জুমবাংলা ডেস্ক : বরিশালে এক যুবকের সাথে জোরপূর্বক অস্বাভাবিক যৌন মিলন করার মামলায় এক আইনজীবীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।

রোববার বিকেলে আসামিকে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোপর্দ করা হয়। পরে বিচারক মারুফ আহমেদ জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

অভিযুক্ত ‍আইনজীবী শামসুল হক নগরীর মুসলিম গোরস্থান রোড এলাকার বাসিন্দা ও জেলা আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সদস্য।

শনিবার রাতে এ মামলা দায়ের করেন নগরীর কাউনিয়া প্রথম লেনের বাসিন্দা বিভূতি রায়ের ছেলে রাজিব রায়।

কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি নুরুল ইসলাম জানান, তৃতীয় লিঙ্গের (হিজড়া) কথা বলা হলেও ওই যুবক নিজেকে তৃতীয় লিঙ্গের বলে দাবি করেননি। তবে তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের সাথে সে চলাফেরার বিষয়টি স্বিকার করেছে।

ওসি আরো জানান, শনিবার রাতে রাজিব রায় কোতোয়ালী মডেল থানায় আইনজীবী শামসুল হকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন।

মামলায় তিনি উল্লেখ করেন, গত ৮ মাস ধরে অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্ক স্থাপন করে আসছে আইনজীবী শামসুল হক। অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্কের ভিডিও ক্লিপও তিনি পুলিশকে দিয়েছে। এ ঘটনায় মামলা রুজুর পর ওইরাতেই আইনজীবী শামসুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়।

অপরদিকে অভিযোগকারী যুবককে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রোববার শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগে পাঠানো হয় বলে জানিয়েছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই ফজলুল হক।

ভিকটিমের শারীরিক এবং ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার রিপোর্ট আদালতে পাঠানোর কথা বলেন শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের চিকিৎসক রেফায়েতুল হায়দার।

বরিশাল সচেতন নাগরিক কমিটির (সনাক) সভাপতি অধ্যাপক শাহ্ সাজেদা একজন সিনিয়র আইনজীবীর নৈতিক অবক্ষয়ের তীব্র নিন্দা জানান। এছাড়া এ ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির পাশাপাশি মামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত ওই আইনজীবীর সনদ বাতিলের দাবি জানান।

বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি আফজালুল করিম জানান, পুলিশের তদন্তে ওই আইনজীবীর অপরাধ প্রমাণিত হলে বিষয়টি নিন্দনীয় হবে। অপরাধ প্রমাণিত হলে এর দায় ব্যক্তির ওপর বর্তায়। আইনজীবী সমিতি কোনভাবেই এর দায় নেবে না।

তবে যুবকের সাথে অস্বাভাবিক যৌন সম্পর্ক করার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুলিশের হেফাজতে থাকা আইনজীবী শামসুল হক।