নিজস্ব প্রতিবেদক: যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে যোগদান করেছেন ড. মহিউদ্দীন আহমেদ। এর আগে তিনি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
গত ৩১ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব শেখ শামছুল আরেফিন স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে ড. মহিউদ্দীন আহমেদকে পদোন্নতি দিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে পদায়ন করা হয়।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল নবনিযুক্ত সচিবকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেন।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব হিসেবে যোগদান করে ড. মহিউদ্দীন আহমেদ ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, সরকারি সেবা মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেওয়াই আমার লক্ষ্য। সকল প্রকার অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত রুপকল্প ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে আমরা ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করব।
ড. মহিউদ্দীন আহমেদ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) প্রশাসন ক্যাডারে একাদশ ব্যাচের একজন সদস্য হিসেবে ১৯৯৩ সালের ১ এপ্রিল যোগদান করেন। দীর্ঘ পেশাগত জীবনে তিনি একাধারে মাঠ প্রশাসন ও সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিচালক (প্রশিক্ষণ) হিসেবেও সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের মেধাবী এই কর্মকর্তা ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অফ উলস্টার থেকে আর্থিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে মাষ্টার্স ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে ২০০৭ সালে মাইক্রো ক্রেডিট ব্যবস্থাপনা বিষয়ে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন। চাকুরী জীবনে তিনি দেশে বিদেশে বিভিন্ন বিষয়ে উচ্চতর প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন।
তিনি বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক। তার স্ত্রী ড. সৈয়দা সালমা বেগম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ২০তম ব্যাচের একজন সদস্য। তিনি বর্তমানে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ে যুগ্নসচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
ড. মহিউদ্দীন আহমেদ বাগেরহাট জেলার মোড়লগঞ্জ উপজেলায় এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ১৯৬৫ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা জনাব মকবুল আহমেদ সেন্ট্রাল সুপিরিয়র সার্ভিস (সিএসএস) ১৯৬৯ ব্যাচের একজন কর্মকর্তা ছিলেন এবং চাকুরীজীবনে তিনি বর্তমান সরকারের প্রথম মেয়াদে প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।