আশপাশে নেতিবাচকতা ছড়ানো মানুষের অভাব নেই। কিন্তু একেবারে কাছের মানুষেরাই অনেক সময় মনোবল ভেঙে দিতে পারে আপনার। কাছের মানুষ আসলে কে? কখন কাকে আপনি কাছের মানুষ বলবেন। যে আসলে আপনাকে বোঝে, আপনার কথা ভাবে, যেকোনো পরিস্থিতি বা সময়ে আপনার পাশে থাকে, সে–ই তো কাছের মানুষ।
তিনি হতে পারে আপনার খুব ভালো বন্ধু, সহকর্মী বা জীবনের পথে হঠাৎ পড়ে পাওয়া, ঘটনাচক্রে জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে যাওয়া কোনো মানুষ। একসময় দেখা যায়, তাঁকে ছাড়া আপনি আর থাকতে পারছেন না। খুব কষ্ট হচ্ছে তিনি আপনাকে গুরুত্ব, সময় বা ভালোবাসার অনুভব না দিলে। একটা সময় দেখবেন, তিনি আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করছেন। আপনি যেন তাঁর ওপরে ভয়ংকর রকমের নির্ভরশীল হয়ে যাচ্ছেন। আর এ রকম সময়েই জেনে অথবা না জেনে আপনার কাছের মানুষেরাই আপনার মনোবল ভেঙে দিতে পারেন তাঁদের কথা, কাজ ও আচরণের মাধ্যমে।
আপনিই কি তবে যথেষ্ট নন? আপনার মধ্যেই কোনো কমতি বা গলদ আছে? এই ভাবতে ভাবতে আপনি তিলে তিলে শেষ হয়ে যাবেন। নিজেকে মনে হবে নিতান্তই অকিঞ্চিৎকর। আয়নার সামনে দাঁড়াতে পারবেন না আপনি। মনে হবে আমি যদি যোগ্য হতাম, তবে আমার সঙ্গে এমন আচরণ করা হতো না। নিজেকে হারিয়ে ফেলবেন আপনি একটু একটু করে।
মনে রাখতে হবে, এমন কাছের মানুষদের যত দূরে রাখা যায়, ততই ভালো। হয়তো আপনার খুব কষ্ট হবে তাঁদেরকে ছেড়ে থাকতে। হয়তো আপনি ভালো থাকবেন না। তবুও এভাবে ভাঙা মনোবল নিয়ে বেঁচে থাকার মানে নেই। যাঁরই দোষ হোক বা পরিস্থিতি যেমনই হোক, তিনিই ভিকটিম। তাঁরই যত কষ্ট, যত দুঃখ, যত যুদ্ধ। তাঁকেই সবাই কষ্ট দেন, তাঁকে কেউ বোঝেন না ইত্যাদি। এ তালিকা শেষ হওয়ার নয়। আপনি নিজে তাঁর ওপর অভিমান নিয়ে যদি যান, তিনি আপনাকে শেষ পর্যন্ত বুঝিয়ে ছাড়বেন যে তিনিই ভিকটিম। আপনার চোখের সামনেই আপনার আবেগগুলো একেবারে বাতিলের খাতায় চলে যাবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।