বিনোদন ডেস্ক : বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাডুকোন মানেই গ্ল্যামার আর সিম্পলিসিটির এক অসাধারণ উদাহরণ। দীর্ঘ কোমর, মরাল গ্রীবা, সুডৌল পা সব, শরীরের সব কিছুই প্রয়োজনের একচুলও এদিক ওদিক হয়নি। তার সঙ্গেই স্বপ্নালু চোখের সৌন্দর্য, গালে টোল ফেলা হাসির সারল্য। মস্তানি বা পিকু, যেকোনো চরিত্রেই অনবদ্য তিনি।
চলতি মাসের ৫ তারিখে ৩৫-এ পা দিলেন বলিউডের এই সুপারস্টার। অথচ, এই দীপিকাই এক সময় ডুবেছিলেন গভীর অবসাদে। জানিয়েছেন ছোট থেকে অ্যাথলেটিক ট্রেনিই তাকে সাহায্য করেছে ঘুরে দাঁড়াতে।
ব্যস্ত শুটিং শিডিউল, অ্যাসাইনমেন্ট সামলে কী ভাবে নিজেকে মেনটেইন করেন দীপিকা? জেনে নিন দীপিকার ডায়েট প্ল্যানিং ও এক্সারসাইজ রুটিন। এর বাইরেও স্ট্রেস কাটাতে টেনিস খেলেন দীপিকা।
দীপিকা তার ভক্তদের সবসময় যোগব্যায়াম করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। শরীর সুন্দর রাখতে গেলে অনেক টাকা পয়সা খরচ করে জিমে যেতে হবে তার কোনো মানে নেই, বাড়িতে নিয়মিত যোগ ব্যায়ামেরর অভ্যাস করলেও পেয়ে যেতে পারেন আকর্ষনীয় শরীর এবং অবিচল মস্তিষ্ক। তাই তার দিন শুরু হয় যোগ আসন দিয়ে।
তার ফিটনেস ট্রেনার ইয়াসমিন করাচিওয়ালা জানিয়েছেন, যে দীপিকার পাঁচটি নিয়ম রয়েছে-
১.অত্যধিক পরিশ্রম এড়িয়ে চলা।
২. সঠিক সময়ে খাওয়া।
৩. নিজেকে বঞ্চিত না করা।
৪. ডায়েটে ফল।
৫. সন্ধ্যে ৭টার পরে ভাত।
নিয়মিত স্কিন কেয়ারের উপর নজর দেন দীপিকা। শুটিং বা কমার্শিয়াল কোনো ইভেন্টে যাওয়া ছাড়া মেকআপ এড়িয়ে চলেন এই বলি ডিভা। শুটিংয়ের পরে মুখটি পুরোপুরি মেকআপ মুক্ত করা আবশ্যক। অতিরিক্ত পানি পানের উপর জোর দেন তিনি, যাতে শরীর হাইড্রেটেড থাকে।
ক্লিনজিং, টোনিং এবং ময়শ্চারাইজিং তার রুটিং স্কিনকেয়ার। এই গ্ল্যামারাস ডিভা ঘুমানোর আগে মুখ পরিস্কার করে একটি ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন। নিয়মিত ফেসিয়াল করান না, তবে সপ্তাহে একবার পুরোপুরি ক্লিন আপ সেশন করান। স্নানের সময় সাবান বা বডি ওয়াশের সঙ্গে একটি লুফাহ দিয়ে মাসাজ করেন। কারণ এটি তাত্ক্ষণিকভাবে রক্ত সঞ্চালনের উন্নতি করে এবং শরীর থেকে মৃত কোষগুলি সরিয়ে দেয়।
দীপিকার মতে, শেষ মুহুর্তের মেকআপ এবং অন্যান্য প্রসাধনী ব্যবহার না করে, ত্বকের জন্য আমাদের নিয়মিত যত্ন করাটা জরুরি, তবেই তো ভিতর থেকে জেল্লাটা ফুটে উঠবে।
নায়িকার মতামত অনুযায়ী, ‘আপনি কতটা পরিমান খাবেন সেটা বিষয় নয়, আপনি কতটা পরিমাণ স্বাস্থ্যকর খাবার খাচ্ছেন সেটা জরুরি। দীপিকা খেতে ভালোবাসেন, তাকে ডাই-হার্ড ফুডি বলা যেতে পরে। নিজেকে মেন্টেন করতে গিয়ে খাবার এড়িয়ে যাওয়া বা অনাহারে থাকায় তিনি বিশ্বাস করেন না।
প্রাতঃরাশ: সাদা দোসা, সঙ্গে নারকেল বা পুদিনার চাটনি। কুসুম বাদ দেওয়া ডিম এবং এক বাটি ফল।
দুপুরের খাবার: একবাটি ডাল, বিভিন্ন রকম শাক, মৌসুমী সবজি, একটা রুটি এবং মুরগি বা মাছের রোস্ট।
রাতের খাবার: ভাত এবং প্রোটিন সালাদ। এছাড়া সারাদিনে বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন জুস এবং সালাদ রয়েছে তার খাদ্য তালিকায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।