Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home যেভাবে ফিরে এলো প্রায় বিলুপ্ত বৈরালি, গজারসহ ২৩ প্রজাতির মাছ
    অর্থনীতি-ব্যবসা কৃষি জাতীয়

    যেভাবে ফিরে এলো প্রায় বিলুপ্ত বৈরালি, গজারসহ ২৩ প্রজাতির মাছ

    জুমবাংলা নিউজ ডেস্কJuly 23, 20205 Mins Read
    Advertisement

    সাইয়েদা আক্তার, বিবিসি বাংলা: বাংলাদেশে গত এক দশকে ‘প্রায় বিলুপ্তি’র মুখ থেকে ফিরে এসেছে এমন দেশি মাছের সংখ্যা ক্রমে বাড়ছে। প্রাকৃতিক ও বাণিজ্যিক চাষ উভয়ভাবেই বাড়ছে মাছের উৎপাদন।

    যদিও গত কয়েক দশকে ১০০’র বেশি দেশি প্রজাতির মাছ বাজার থেকে ‘প্রায় নেই’ হয়ে গেছে।

    কিন্তু বাংলাদেশে গত এক দশকে মাছের উৎপাদন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।

    জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা এফএও’র ২০২০ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এই মূহুর্তে মিঠা পানির মাছের উৎপাদনে বাংলাদেশ বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে।

    সরকারি হিসাবে দেখা গেছে বাংলাদেশে এখন প্রতি বছর প্রায় ৪৫ লাখ মেট্রিক টনের বেশি মাছ উৎপন্ন হচ্ছে।

    তবে এর বড় অংশটি ইলিশ।

    ফিরে আসা মাছেরা

    সম্প্রতি প্রকাশিত ‘দ্য স্টেট অব দ্য ওয়ার্ল্ড ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকোয়াকালচার ২০২০’ নামে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বাদু পানির মাছের উৎপাদন বাড়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে।

    বছরে ৯ শতাংশ হারে বাড়ছে বাংলাদেশের মিঠা পানির মাছের উৎপাদন।

    এ হারে প্রথম স্থানে থাকা ইন্দোনেশিয়ায় ১২ শতাংশ হারে উৎপাদন বাড়ছে মিঠা পানির মাছের।

    গবেষকেরা বলছেন, ‘প্রায় বিলুপ্ত’ অবস্থা থেকে প্রাকৃতিক উপায়ে মাছের ফিরে আসার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় অগ্রগতি হয়েছে হাওড় এলাকা এবং মেঘনা নদীর অববাহিকায়।

    এর বাইরে গবেষণার মাধ্যমে ফেরানো হয়েছে কিছু প্রজাতির মাছ, যেগুলো এখন বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা হয়।

    বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদ বিবিসিকে বলেছেন, মোট ২৩টি প্রজাতির মাছ পুনরায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে, এগুলো হচ্ছে—

    ১. পাবদা

    ২. গুলশা

    ৩. টেংরা

    ৪. শিং

    ৫. মাগুর

    ৬. গুজি আইড়

    ৭. চিতল

    ৮. ফলি

    ৯. মহাশোল

    ১০. বৈরালী

    ১১. রাজপুঁটি

    ১২. মেনি

    ১৩. বালাচাটা

    ১৪. গুতুম

    ১৫. কুঁচিয়া

    ১৬. ভাগনা

    ১৭. খলিশা

    ১৮. বাটা

    ১৯. দেশি সরপুঁটি

    ২০. কালিবাউশ

    ২১. কই

    ২২. গজার

    ২৩. গনিয়া

    এর বাইরে প্রাকৃতিক উপায়েও মাছের উৎপাদন বেড়েছে, মূলত হাওড় অঞ্চল এবং মেঘনা নদীর অববাহিকায়।

    ওইসব এলাকায় রিটা, আইড়, বাগাইড়, নদীর পাঙ্গাস, শিলন, চিতল এবং দেশি সরপুঁটি মাছের সংখ্যা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে বলে বলছে বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফিস।

    কিভাবে ঘটেছে এই প্রত্যাবর্তন

    মৎস্য গবেষণা ইন্সটিটিউটের মহাপরিচালক ইয়াহিয়া মাহমুদ বলেছেন, প্রজনন ও চাষাবাদ কৌশল উদ্ভাবনের মাধ্যমে এই ২৩টি প্রজাতির মাছকে পুনরায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

    এখন আরো ৭টি প্রজাতি নিয়ে গবেষণা চলছে।

    তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশে এই মূহুর্তে ৮০০ হ্যাচারিতে মাছের পোনা চাষ করা হয়, ২০০৮ সালে দেশে হ্যাচারির সংখ্যা ছিল ২৫ টির মত।

    “বাংলাদেশে গত কয়েক দশকে হাওড়-বাঁওড়, খাল, বিল, পুকুরসহ জলাশয়ের সংখ্যা বহুলাংশে সংকুচিত হয়ে গেছে।

    ফলে হারিয়ে যাচ্ছিল মিঠা পানির মাছের বহু প্রজাতি। ফলে গবেষণার মাধ্যমে সেগুলো আবার ফিরিয়ে আনার চেষ্টা শুরু হয়, যার ফল এখন বাজারে গেলে টের পাওয়া যায়।”

    তিনি জানিয়েছেন, একেকটি মাছের প্রজাতি নিয়ে গবেষণায় সাফল্য পেতে অন্তত আড়াই থেকে তিন বছর সময় লেগেছে।

    মি. মাহমুদ বলছেন, পুনরায় ফিরিয়ে আনা মাছগুলো বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হচ্ছে।

    বাণিজ্যিকভাবে চাষাবাদ হওয়া মাছের মধ্যে পুকুর ও ডোবার মত বদ্ধ জলাশয়ে ৫৭ শতাংশ মাছ উৎপাদন হচ্ছে।

    দেশে ৮ লাখ হেক্টর বদ্ধ জলাশয়ে মাছ চাষ হয়।

    প্রাকৃতিক প্রত্যাবর্তন

    বেসরকারি সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফিসের কর্মকর্তা বলরাম মহালদার বিবিসিকে বলেছেন, দেশের হাওড় এবং উজানে প্রাকৃতিকভাবে গত এক দশকে মাছের উৎপাদন বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।

    এর কারণ হিসেবে তিনি বলেছেন, হাওড় এলাকায় জলাশয় ইজারা দেবার সরকারি পদ্ধতি বাতিল হবার কারণে এ অগ্রগতি হয়েছে।

    “ইজারা পদ্ধতি চালু থাকাকালে জলাশয়ের ব্যবহারকারীদের দায়িত্বজ্ঞানহীন কিছু আচরণ যেমন মৌসুম শেষে জলাশয়টি পুরোপুরি সেচে ফেলা, রাসায়নিক ব্যবহার এসব কারণে মাছের প্রাকৃতিক আবাস ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হত।”

    তিনি জানিয়েছেন, এখন নতুন নিয়মে কোন নির্দিষ্ট কম্যুনিটি একটি জলাশয়ের দায়িত্ব পায়, সেখানে মাছের আবাস ও উৎপাদন স্থিতিশীল রাখার জন্য সরকারের দেয়া নিয়মাবলী মানা হচ্ছে কিনা তা মনিটর করা হয়।

    “এর ফলেই মাছের আবাসস্থল বা হ্যাবিটাট অটুট থাকছে, ফলে মাছের প্রজনন নির্বিঘ্নে হতে পারছে।”

    মি. মহালদার জানিয়েছেন এর বাইরে মাছের জন্য অভয়াশ্রম করা হয়েছে অনেক এলাকায়, হাওড় এলাকায় পুনরায় খনন করে মাছের আবাসস্থল ফেরানো হয়েছে কোন কোন এলাকায়।

    “এছাড়া ইলিশ সংরক্ষণের জন্য বছরে কয়েকটি সময় যে মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়, তার ফলে কেবল ইলিশই বাঁচে না।

    ওই একই আবাসস্থলে থাকা রিটা এবং আইড়ের মত মাছও সুরক্ষা পাচ্ছে। যেমন একটি নির্দিষ্ট সময় ইলিশ ডিম ছাড়ছে এবং বাচ্চা ফুটছে মানে প্রচুর জাটকা হচ্ছে, এই জাটকা আবার রিটা এবং আইড়ের প্রধান খাবার।”

    কিন্তু ইলিশের উৎপাদন ব্যাপক হারে হচ্ছে বলে, রিটা এবং আইড় মাছের পেটে অনেক জাটকা চলে যাবার পরেও সব কটি মাছের উৎপাদন বাড়ছে।

    বিলুপ্ত-প্রায় অবস্থা থেকে ফেরা কি স্থিতিশীল?

    বাংলাদেশে দেশীয় মাছের প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ৩০০।

    এর মধ্যে প্রায় বিলুপ্তির পথে ১০০র বেশি দেশীয় মাছ থাকলেও সেগুলোকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়নি।

    প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা আইইউসিএন’এর এ সংক্রান্ত নিয়ম হচ্ছে, সর্বশেষ কোন একটি প্রজাতির মাছের দেখা পাবার পরবর্তী ২৫ বছরে যদি সেই প্রজাতির অস্তিত্বের কোন প্রমাণ না পাওয়া যায়, তাহলে সেটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়।

    যে কারণে বিলুপ্ত ঘোষণা না হলেও বহু দেশিয় মাছই এখন আর দেখা যায় না।

    তবে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৎস্যবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক কানিজ ফাতেমা বলছেন, বর্তমানে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি নিঃসন্দেহে দেশীয় প্রোটিনের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করছে।

    তিনি বিবিসিকে বলেছেন, “এই মূহুর্তে বাজারে যেসব মাছ পাওয়া যায় তার ৫৬ শতাংশই চাষের মাছ।

    ব্যাপক হারে চাষাবাদ হবার কারণে এসব মাছের দামও এখন সাধারণ মানুষের নাগালের মধ্যে, ফলে একদিকে দেশিয় উদ্যোক্তাদের যেমন কর্মসংস্থান হচেছ, তেমনি অর্থনীতির উন্নয়নও তো হচ্ছে।”

    এখন এই দেশিয় প্রজাতির মাছের প্রত্যাবর্তন টিকিয়ে রাখা এবং আরো নতুন নতুন প্রজাতি ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে বলে তিনি মনে করেন।

    আর সেজন্য গবেষণা আরো বাড়াতে হবে।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    Related Posts
    বিমানে আগুন

    ১৭৩ যাত্রী নিয়ে ওড়ার আগমুহূর্তে বিমানে আগুন

    July 27, 2025
    জুলাই

    হল গেটের তালা ভেঙে ১৪ জুলাই রাতেই হাসিনাকে লাল কার্ড দেখিয়েছিলাম: তন্বি

    July 27, 2025
    শ্রীপুরে সিরামিক কারখানায়

    শ্রীপুরে সিরামিক কারখানায় ১০ দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

    July 27, 2025
    সর্বশেষ খবর
    নির্বাচন কমিশনে আয়-ব্যয়ের

    নির্বাচন কমিশনে আয়-ব্যয়ের হিসাব দিলো বিএনপি

    অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫

    অষ্টম শ্রেণির বৃত্তি পরীক্ষা ২০২৫: আবার চালু হচ্ছে বছরের শেষে

    বিমানে আগুন

    ১৭৩ যাত্রী নিয়ে ওড়ার আগমুহূর্তে বিমানে আগুন

    জুলাই

    হল গেটের তালা ভেঙে ১৪ জুলাই রাতেই হাসিনাকে লাল কার্ড দেখিয়েছিলাম: তন্বি

    সৈয়দপুরে যাবজ্জীবনের

    সৈয়দপুরে যাবজ্জীবনের সাজা শেষে বের হয়ে ফের হত্যা, আসামি গ্রেপ্তার

    শ্রীপুরে সিরামিক কারখানায়

    শ্রীপুরে সিরামিক কারখানায় ১০ দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

    খুলনায় হবে ৬০০

    খুলনায় হবে ৬০০ মেগাওয়াটের সোলার পাওয়ার প্লান্ট

    গতি ফিরেছে আখাউড়া

    গতি ফিরেছে আখাউড়া বন্দরে, লেগেছে নতুন হাওয়া

    Notion AI

    Notion AI: Revolutionize Your Productivity with Smart Note-Taking

    নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার

    নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থার নিবন্ধন আবেদন চেয়ে ইসির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.