সেকেন্ডহ্যান্ড ক্লোদিং ইউরোপ ও আফ্রিকার ২০২৩ সালের জিডিপিতে যোগ করেছে বিলিয়ন ডলার। সঙ্গে সুযোগ তৈরি করেছে অসংখ্য পরিবেশবান্ধব কাজের। সেকেন্ডহ্যান্ড ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রি বৈশ্বিক চক্রাকার অর্থনীতিতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখছে, বিশেষ করে ইউরোপ ও আফ্রিকার দেশগুলোতে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাজ্য এ ক্ষেত্র থেকে সরাসরি আয় করেছে ৩.২ বিলিয়ন ডলার। আর সেকেন্ডহ্যান্ড ফ্যাশন এসব দেশের জিডিপিতে যোগ করেছে মোট ৭.৬ বিলিয়ন ডলার। সেকেন্ডহ্যান্ড ফ্যাশন থেকে গত বছর জার্মানি ৭২০ মিলিয়ন ডলার আর যুক্তরাজ্য ৪৫০ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে।
এ সেক্টর ২০২৩ সালে ইউরোপের দেশগুলোতে দেড় লাখ চাকরি তৈরি করেছে। এগুলোর মধ্যে ১ লাখ ১০ হাজারই গ্রিন জবস। উল্লেখ্য, রিসাইক্লিং, আপসাইক্লিং, ডিক্লাটারিংয়ের সঙ্গে যুক্ত পরিবেশবান্ধব চাকরিগুলোই মূলত গ্রিন জব। এ ধরনের নতুন চাকরি যাঁরা পাচ্ছেন, তাঁদের ১০ জনের ৮ জনই নারী। বুলগেরিয়া, রোমানিয়া ও পোল্যান্ডের মতো নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে অনেক সুযোগ তৈরি করেছে এই ফ্যাশন ক্ষেত্র।
এসব তথ্য উঠে এসেছে অক্সফোর্ড ইকোনমির ‘আফ্রিকা ও ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের ২৭টি দেশে সেকেন্ডহ্যান্ড কাপড়ের আর্থসামাজিক প্রভাব’ শিরোনামের নতুন এক প্রতিবেদনে। এই প্রতিবেদন তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল হুমানা পিপল টু পিপল আর সিম্প্যানিকে।
এটি প্রথম প্রতিবেদন, যেখানে দুটি মহাদেশের ক্লোদিং সেক্টরের সামগ্রিক ভ্যালু চেইন ও আর্থসামাজিক প্রভাব তুলে ধরা হয়েছে। প্রতিবেদনটি চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে আমাদের জানার পরিধির ঘাটতি। আরও শিখিয়েছে সূক্ষ্ম দৃষ্টি দিয়ে পর্যবেক্ষণ করতে, যে মাত্রায় আগে কেউ চিন্তা করেনি।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন আর ঘানা, কেনিয়া ও মোজাম্বিককে কেন্দ্র করে প্রতিবেদনটি করা হয়েছে। ঘানা গত বছর সেকেন্ডহ্যান্ড ক্লোদিং থেকে ৩৫ মিলিয়ন ডলার, কেনিয়া ১৭ মিলিয়ন ডলার আর মোজাম্বিক ১০.৭ মিলিয়ন ডলার আয় করেছে। এসব দেশে সমান্তরালে তৈরি হয়েছে অসংখ্য পরিবেশবান্ধব কর্মসংস্থান বা গ্রিন জব।
অন্যান্য বছরের তুলনায় ৪৭ শতাংশের বেশি সেকেন্ডহ্যান্ড কাপড় ঘানায় আমদানি হয়েছে ইউরোপিয়ান দেশগুলো থেকে। আফ্রিকান অন্য দেশগুলোতেও আমদানি বেড়েছে গত বছর। পৃথিবীর উত্তর ও দক্ষিণের দেশগুলোর মধ্যে ভালো একটি ভ্যালু চেইন থাকায় অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যেমন হয়েছে, তেমনি বেড়েছে নতুন কাজের জায়গা।
চাহিদা অনুযায়ী সেকেন্ডহ্যান্ড পোশাক উত্তর থেকে দক্ষিণের দেশগুলোতে যায়। সার্কুলার ফ্যাশনের কারণে সাশ্রয়ী আর উন্নত মানের কাপড় চাহিদা বাড়বে বৈশ্বিক উৎপাদনে; যা একই সঙ্গে পরিবেশবান্ধব। তবে শক্তিশালী নিয়ন্ত্রণকাঠামো ছাড়া যেকোনো এক দেশের হাতে সেকেন্ডহ্যান্ড ফ্যাশনের বাজার চলে গেলে ইতিবাচক এই প্রভাব ধরে রাখা যাবে না। সেকেন্ডহ্যান্ড সেক্টর তাই আইনি সহায়তা চেয়েছে নীতিনির্ধারকদের কাছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।