বিনোদন ডেস্ক: মাত্র ছয় মাসে ১৫ কেজি ওজন কমিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন টলিউড নায়িকা তথা অভিনেতা অঙ্কুশ হাজরার প্রেমিকা ঐন্দ্রিলা সেন। আগে তার ওজন ছিল ৭১ কেজি। এখন ৫৬। বর্তমানের মেদহীন ছিপছিপে চেহারার ঐন্দ্রিলাকে দেখে অনুরাগীদের পাশাপাশি মুগ্ধ তার প্রেমিক অঙ্কুশও। কিন্তু কীভাবে এত কম সময়ে ১৫ কেজি ওজন কমালেন অভিনেত্রী?
এ প্রসঙ্গে সম্প্রতি দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে ঐন্দ্রিলা জানান, লকডাউনে বাড়িতে বসে ওজন বেড়ে যাচ্ছিল তার। তিনি বলেন, ‘গত জুন মাস থেকে শরীরচর্চা শুরু করি। প্রথম দিকে খুবই কষ্ট হত। মিষ্টি খাওয়া একেবারেই ছেড়ে দিই। অন্যান্য খাবারও খুব কম খেতাম। তার পরও প্রথম দুই মাস ওজন কমেনি। সেই দুই মাস কঠিন শরীরচর্চার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছিলাম।’
শরীরচর্চার সঙ্গে খাওয়াতেও রাশ টানতে হয়েছিল তাকে। তবে মেনে চলেননি বাঁধাধরা কোনো ডায়েট। উপোসের পক্ষপাতী নন তিনি। তাই শরীরচর্চার প্রশিক্ষক তাকে দিনে খুব অল্প পরিমাণে ছয় বার খেতে বলেছিলেন। খাবারের তালিকায় বরাদ্দ ছিল, প্রতিদিন কুসুম ছাড়া ছয়টি ডিম সেদ্ধ। যেগুলো সকাল, দুপুর এবং রাতে দুটি করে খেতেন ঐন্দ্রিলা। দুপুরে সবজির স্যুপ, প্রোটিন শেক বা ফল। দিনে কয়েকবার করে শশা। রাতের খাবারে থাকত প্রোটিন শেক।
এভাবে কিছু দিন চলার পর দুপুরে অল্প পরিমাণ ভাত খাওয়ার অনুমতি পেয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। তবে তালিকা থেকে বাদ পড়েছিল ব্ল্যাক কফি ও জুসের মতো পানীয়। এভাবে চলেই ছয় মাসে ১৫ কেজি ওজন ঝরিয়েছেন ঐন্দ্রিলা। নিজের বর্তমান চেহারা নিয়ে অন্য সবার মতো সন্তুষ্ট তিনিও।
ঐন্দ্রিলা জানিয়েছেন, শরীরচর্চার সঙ্গেই খাওয়াদাওয়াতেও অনেক কিছু মানতে হয়েছে তাকে। তবে মেনে চলেননি বাঁধাধরা কোনও ডায়েট। ১৪-১৬ ঘণ্টা উপোসের পক্ষপাতি ছিলেন না তিনি। তাই শরীরচর্চা প্রশিক্ষক তাকে দিনে খুব অল্প পরিমাণে ৬ বার খেতে বলেছিলেন। খাবারের তালিকায় বরাদ্দ ছিল কুসুম ছাড়া দিনে ৬টি ডিম সেদ্ধ। সকাল, দুপুর এবং রাতে দু’টি করে ডিম খেতেন ঐন্দ্রিলা। দুপুর বেলায় সবজির স্যুপ, প্রোটিন শেক বা ফল। তার মাঝে খিদে পেলে পেট ভরাতেন শশা খেয়ে। নৈশভোজে ফের থাকত প্রোটিন শেক। এ ভাবে কিছু দিন চলার পর দুপুরে অল্প পরিমাণ ভাত খাওয়ার অনুমতি পেয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। তবে তালিকা থেকে বাদ পড়েছিল ব্ল্যাক কফি, জুসের মতো পানীয়।
বেশ খানিকটা ওজন কমিয়ে ফেলার পর নায়িকা ছাড় পেয়েছেন এই কড়া ডায়েট থেকে। বাড়িতে মায়ের তৈরি খাবার খান তিনি। ইচ্ছে হলে মনের মতো মাছ বা মাংসের ঝোল আর ভাত দিয়ে সেরে নেন মধ্যাহ্নভোজ। কেক, পেস্ট্রির মায়া ত্যাগ করতে হলেও ফ্রিজে তার থাকে ডার্ক চকোলেট। আর কফিতে সাধারণ দুধের পরিবর্তে ব্যবহার করেন কাঠবাদামের দুধ। চিনির পরিবর্তে গুড়। তবে সপ্তাহে এক দিন ফুচকা না হলে ঐন্দ্রিলার চলে না। ঝালঝাল আলুমাখা আর টক জল দিয়ে মনের সুখে ফুচকায় পেট ভরান নায়িকা।
ঐন্দ্রিলা বলেন, ‘ওজন কমিয়ে আমি খুবই খুশি। অনেকেই বলছেন আমার চোখ-নাক-মুখ বদলে গেছে। আমি নাকি প্লাস্টিক সার্জারি করিয়েছি। শরীরের মেদ কমলে মুখেরও মেদ কমে। ফলে চোখ-নাকের আকৃতিরও পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে হয়।’
এক যুগের বেশি সময় ধরে ছোটপর্দায় কাজ করছেন ঐন্দ্রিলা। গত বছর ‘ম্যাজিক’ ছবিতেও তার অভিনয় প্রশংসিত। এরপর পেয়েছেন একাধিক ছবির প্রস্তাব। কিন্তু ওজন বেশি থাকায় সেগুলোতে অভিনয় করতে রাজি হননি তিনি। ঠিক সেই সময় তার কাছের মানুষজন তাকে ওজন কমানোর জন্য উৎসাহ দিয়েছিলেন বলে অকপটে কবুল করেন নায়িকা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।