প্রত্যেকবার ফুটবল বিশ্বকাপের পর এমন কিছু খেলোয়াড় নিজেদের চমৎকার পারফরমেন্সের মাধ্যমে উঠে আসেন যাদের আগে কেউ চিনত না। এবারে কাতার বিশ্বকাপে এরকম পাঁচ জন খেলোয়াড়ের বিবরণ তুলে ধরা হবে যারা আগামী সময়ের বড় তারকা ফুটবলার হতে যাচ্ছেন।
আক্রমণভাগে যেকোনো পজিশনে খেলতে পারেন পর্তুগিজ উইঙ্গার রাফায়েল লিয়াও। এসি মিলানের হয়ে গত মৌসুমে সবার নজর কাড়ার পর যিনি এখন পর্তুগালের জার্সিতে মাঠ মাতাচ্ছেন। দারুণ ড্রিবলিং, অসাধারণ ভিশন আর চমৎকার শট নিতে দক্ষ এই বৈচিত্র্যপূর্ণ খেলোয়াড়কে প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তার শৈশবের ক্লাব স্পোর্টিং সিপির সাবেক কোচ তিয়াগো ফার্নান্দেজ।
লিওনেল স্কালোনির চার বছর ধরে তিল তিল করে গড়ে তোলা আর্জেন্টিনা দলের একদম শেষের দিকে খুব কম সময়ের জন্য যুক্ত হয়েছিলেন থিয়াগো আলমাদা। লিওনেল মেসি জানিয়েছেন যে, “থিয়াগো খুবই তরুণ। সে অত্যন্ত দ্রুতগতিসম্পন্ন, সে জানে ওয়ান-অন-ওয়ানে কীভাবে খেলতে হয়। সে কোনো কিছু ভয় পায় না, পাশাপাশি বেশ বুদ্ধি ধারণ করে।”
স্পেনের কোচ লুইস এনরিকে অবশ্য আস্থার হাতটা সরাচ্ছেন না ফাতির মাথার উপর থেকে, বিশ্বকাপগামী স্প্যানিশ বিমানে ঠিকই নিজের আসন বুঝে পেয়েছেন ফাতি। স্পেন জাতীয় দল এর কোচ বলেন, “আনসুর সামর্থ্য প্রশ্নাতীত, তবে সে খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছিল। তার ব্যাপারে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত সংশয় ছিল, তবে আমি তার ওপরই বাজি ধরার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমার মনে হয় এই দলে সে খুব ভালো সংযোজন হতে পারে।”
সাধারণত আক্রমণভাগের বাম দিকে খেলেন গ্যাব্রিয়েল মার্টিনেল্লি। বৈচিত্র্যপূর্ণ এই উইঙ্গারের দারুণ ক্ষিপ্রতা আছে, সক্ষমতা আছে কার্যকর মুভমেন্টে প্রতিপক্ষের রক্ষণকে ছিঁড়ে ফেলার। কোচ তিতের কথাতেও পরিষ্কার, তার সুনজরেই আছেন মার্টিনেল্লি।
আর্জেন্টিনা দলের মাঝমাঠের ভবিষ্যৎ বলা যায় ২১ বছর বয়সী এনজো ফার্নান্দেজকে। বেনফিকার কোচ রজার শ্মিট বলেন যে, “সে একজন অসাধারণ খেলোয়াড়, একজন অসাধারণ মানুষ। সে তার লক্ষ্য সম্পর্কে জানে, সে অত্যন্ত পেশাদার। আমি মনে করি সে বেনফিকাতে অনেক দিন থাকবে, মাত্র ছয় মাস কোনোভাবেই যথেষ্ট নয়।”
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।