অর্থের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়ার নিয়ম প্রচলিত রয়েছে অনেক দেশেই। নানা মানুষ এভাবে নাগরিকত্বের সুবিধা গ্রহণ করছেন। অনেক দেশের বিনিয়োগের মাধ্যমে ওই দেশের পাসপোর্ট পাওয়া যায়। এশিয়ার অনেক মানুষ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের নাগরিকত্ব পাওয়ার জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।
তবে এভাবে নাগরিকত্ব পাওয়ার ক্ষেত্রে আপনাকে কয়েক মিলিয়ন ডলার খরচ করার চিন্তা করতে হবে। ইউরোপের অস্ট্রিয়াতে প্রায় ৯৫ লাখ ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে ওই দেশের নাগরিকত্ব মিলতে পারে। ইতালির পাশে অবস্থিত ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য মাল্টাতে একই পদ্ধতি অবলম্বন করে নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
মন্টিনিগ্রোতে বিনিয়োগের দুইটি পদ্ধতি চালু রয়েছে। তাদের নির্দিষ্ট বিনিয়োগ তহবিল রয়েছে। সেখানে দুই লাখ ডলার দেওয়ার মাধ্যমে আপনি নাগরিকত্ব পেতে পারেন। অথবা রাজধানীর মধ্যে বা রাজধানীর বাহিরে বিভিন্ন প্রকল্পে অর্থ বিনিয়োগ করার মাধ্যমে এই সুবিধা গ্রহণ করতে পারেন।
উত্তর মেসিডোনিয়াতে ৪ লাখ ডলার বিনিয়োগের মাধ্যমে ১০টি কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করতে পারলে নাগরিকত্ব মিলতে পারে। তবে অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব লাভের ক্ষেত্রে বর্তমানে তুরস্ক জনপ্রিয় দেশের তালিকায় রয়েছে।
তুরস্কের আবেদনের সাতটি স্টাইল রয়েছে। এর মধ্যে সবথেকে কম খরচের হল 4 লাখ ডলার মূল্যের রিয়েল এস্টেট সম্পদ কেনা। লাটভিয়াতে ৬০ হাজার ইউরো, পানামাতে ৪০ হাজার ডলার, থাইল্যান্ডে ১৯০০০ ডলার ফি দিয়ে আপনি নাগরিকত্বের সুবিধা পেতে পারেন।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশে জর্ডানে আবেদন করার তিনটি ভিন্ন পদ্ধতি রয়েছে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিভিন্ন দ্বীপরাষ্ট্রে অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্ব পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। যেমন বার্বাডোজের জাতীয় তহবিল এক লাখ ডলার অনুদান দেওয়ার মাধ্যমে আবেদন করতে পারেন। ক্যারিবিয়ান সাগরের সেন্ট লুসিয়া, ডমিনিকা, গ্রানাডার উন্নয়ন তহবিলে অর্থ বিনিয়োগের মাধ্যমে নাগরিকত্বের জন্য আবেদন করতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।