জুমবাংলা ডেস্ক: মানবদেহের শারীরবৃত্তীয় বিষয় সম্পর্কে জানতে এবং শিখতে কঙ্কাল সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করা হয় মেডিকেল শিক্ষায়। নার্সিং এবং হোমিওপ্যাথি বিষয়ক পড়াশুনার ক্ষেত্রেও কঙ্কাল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অর্থাৎ মানবদেহ নিয়ে পড়াশুনা করতে হয় এমন যেকোন ধরনের শিক্ষায় কঙ্কালের ব্যবহার অপরিহার্য।
বিশেষজ্ঞরা বলেন, অ্যানাটমি বিষয়ের অধীনে মানুষের কঙ্কাল এবং হাড়গোড় নিয়ে পড়াশুনা করতে হয়। বিশেষ করে মানুষের শরীরে হাড়-গোড় গুলো কোন অবস্থায় থাকে, হাড়ের গঠন, এগুলোতে বিভিন্ন ধরণের ছিদ্র সম্পর্কে জানার জন্য কঙ্কাল দরকার। সেক্ষেত্রে একজন শিক্ষার্থীর জন্য একটি কঙ্কাল দরকার হয়ে থাকে। আবার দুই-তিনজন শিক্ষার্থী মিলে একটি কঙ্কাল নিয়ে গবেষণা, পড়াশুনা করে থাকে।
কঙ্কাল ছাড়া শুধুমাত্র পড়ে মানবদেহের শরীরবৃত্তীয় বিষয় বোঝা সম্ভব নয় বলে অনেক শিক্ষার্থী মনে করেন।
যদিও আর্টিফিশিয়াল কিংবা কৃত্রিমভাবে তৈরি কঙ্কাল বাজারে পাওয়া যায়। কিন্তু মেডিকেলের শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীরা মনে করেন কৃত্রিমভাবে তৈরি কঙ্কাল দিয়ে শিক্ষার বিষয়টি পরিপূর্ণ হয় না। বিশেষ করে যেসব শিক্ষার্থীরা চিকিৎসাশাস্ত্রে স্নাতক করেন এবং পরবর্তীতে চিকিৎসক হিসেবে পেশা শুরু করেন তাদের জন্য মানুষের প্রকৃত কঙ্কাল প্রয়োজন। কারণ মানুষের কঙ্কালে যে গর্ত, নার্ভ এবং গ্রুপ আছে তা কৃত্রিমভাবে তৈরি কঙ্কালে সেভাবে পাওয়া যায় না।
বিবিসি অবলম্বণে
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।