জুমবাংলা ডেস্ক : পাবনার চাটমোহর উপজেলার আলোচিত সেই ষাড় গরু ‘টাইগার’ জবাইয়ের পর মাইকিং করে মাংস বিক্রি করা হয়েছে।
এর আগে ৩০ লাখ টাকা দাম হাঁকিয়ে আলোচনায় আসা সেই ‘টাইগার’ শনিবার বিকালে গোয়ালঘরে পা পিছলে পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয়। পরে গরুটিকে জবাই করা হয়।
টাইগারের এমন করুণ পরিণতির কথা শুনে তাকে একনজর দেখতে এলাকার হাজারো মানুষ ভিড় জমায়।
এদিকে চোখের সামনে সন্তানতুল্য টাইগারের এমন হবে মানতে পারছেন না মালিক মিনারুল ইসলাম ও তার স্ত্রী জাকিয়া সুলতানা। সবার চোখ ছিল অশ্রুসজল। এবারের ঈদুল আজহায় কাঙ্ক্ষিত দাম পেয়েও ভালোবাসার কারণে টাইগারকে বিক্রি করেননি মিনারুল ইসলাম।
শনিবার বিকালে সরেজমিন উপজেলার ছোট গুয়াখড়া গ্রামের মিনারুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে জানা গেছে, শনিবার বিকালে গোয়ালঘরে পা পিছলে পড়ে যায় টাইগার। এতে পিছন ও সামনের ডান পা দুটি ভেঙ্গে যায়। এতে অসুস্থ হয়ে পড়ে টাইগার।
তবে গরুটিকে জবাই করতে নারাজ ছিলেন মালিক মিনারুল। পরে স্বজন ও প্রতিবেশি সবার পীড়াপিড়িতে জবাই করে মাংস বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
এদিকে টাইগারকে জবাইয়ের পর চামড়া ছাড়ানোর কাজ করেছেন কসাইসহ বেশ কয়েকজন। শেষবারের মতো টাইগারকে দেখতে সেখানে হাজারো উৎসুক মানুষের ভিড় জমে। প্রিয় গরুটির জন্য টাইগারের মালিক, স্বজন, গরু লালন পালনকারী শ্রমিকসহ উপস্থিত সবার মন ছিল বিষন্ন, চোখ ছিল অশ্রুসজল।
সন্ধ্যার পর থেকে রাতের মধ্যেই প্রতি কেজি ৫০০ টাকা দরে মাংস বিক্রি করা হয় শেষ হয়। ৯ ফুট দৈর্ঘ্য আর সাড়ে ৫ ফুট উচ্চতার ফ্রিজিয়ান জাতের ষাঁড় গরুটির ওজন হয়েছিল ৪৪ মন। তবে সবকিছু বাদ দিয়ে মাংস পাওয়া যায় প্রায় ২৪ মণ।
মালিক মিনারুল ইসলাম বলেন, টাইগারকে গোসল করানো, খাওয়ানো থেকে সবকিছুই সময়মতো করিয়েছি। এবারে ঈদুল আজহায় অনেকে অনেক দাম বলেছেন। কিন্তু তাকে (ষাঁড় টাইগার) লালন-পালন করতে গিয়ে কখন যে ভালোবেসে ফেলেছিলাম বুঝতে পারিনি। তাই কাঙ্খিত দাম পেয়েও শেষ পর্যন্ত বিক্রি করতে পারিনি।
জাকিয়া পারভীন বলেন, টাইগারকে আমাদের সন্তানের মতো ছিল। তাকে এভাবে হারাবো বুঝতে পারিনি। খুব কষ্ট হচ্ছে। আমাদের স্বপ্ন ভেঙ্গে গেল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।