স্পোর্টস ডেস্ক : টি-টোয়েন্টিতে ডেথ ওভারে বোলারদের পিটিয়ে ম্যাচ নিজেদের অনুকূলে নিয়ে আসতে সিদ্ধহস্ত আন্দ্রে রাসেল। আন্তর্জাতিক কিংবা আইপিএলে অসংখ্যবার নিজ দলকে বিপদের হাত থেকে রক্ষা করেছেন তিনি। বিশ্ব ক্রিকেটে যেমন ওয়েস্ট ইন্ডিজের, ভারতীয় লিগে তেমন কলকাতা নাইট রাইডার্সের (কেকেআর) শেষ মুহূর্তের বাজি তিনি। তার চওড়া ব্যাটের ওপরই ভরসা করে থাকে দলটি।
সেই রাসেলই এবার কেকেআরের নাইট আনপ্লাগডে এসে জানিয়ে দিলেন রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) বিপক্ষে তার বিধ্বংসী ১৩ বলে ৪৮ রানের পেছনের রহস্য। জানিয়েছেন দীনেশ কার্তিককে আউট করে বিরাট কোহলির উদযাপন দেখেই মাথায় রক্ত চড়ে ওর।
সেই ভিডিওতে রাসেল বলেন, কার্তিক একটি বা দুটি বাউন্ডারি হাঁকানোর পর আউট হয়ে যায়। সম্ভবত কোহলি তার ক্যাচটি নেন। তা লুফে নিয়েই কেকেআর ক্রিকেটারদের স্ত্রী ও সমর্থকরা যেখানে বসেছিলেন, সেদিকে তাকিয়ে অঙ্গভঙ্গি করতে থাকেন। তা দেখেই আমার মাথা গরম হয়ে যায়। নিজেকে বলতে থাকি– খেলা এখনও শেষ হয়নি।
জয়ের জন্য তখন কলকাতার দরকার ছিল ২৪ বলে ৫৩ রান। ঠিক সেই সময়ে নভদীপ সাইনি কার্তিককে আউট করে দেন। ফলে ক্রিজে আসেন রাসেল। এসে কোনো বল মোকাবেলা করার আগেই উইকেটে থাকা শুভমান গিলের সঙ্গে একপ্রস্থ আলোচনা সেরে নেন তিনি।
রাসেল বলেন, আমি উইকেটে যাওয়া মাত্রই গিল আমার দিকে এগিয়ে আসে। তাকে সাফ জানিয়ে দিই, প্রতিপক্ষের যে-ই বল করুক না কেন, আজ ওড়াব। কাউকে ছাড় দেব না। তাই যতটা সম্ভব আমাকে স্ট্রাইক দিস। সে জবাব দেয়, তুমি যা বলবে; তাই হবে বিগ ম্যান। বুম! এর পর ছক্কার বন্যা বইয়ে দিয়েছিলাম। আমি হিট করলেই বল মাঠের বাইরে পড়ছিল। দ্রুতগতিতে রান উঠছিল। তবু স্কোরবোর্ডের দিকে তাকাচ্ছিলাম না। কারণ এতে কখনও খেলা থেকে ফোকাস সরে যায়।
গিল ও রাসেল ওই ম্যাচের অন্তিম মুহূর্তে ৫৩ রানের পার্টনারশিপ গড়েন। সেই জুটিতে গিল করেন মাত্র ৩ বলে ৩ রান। আর ছক্কার পসরা সাজান দ্রে রাস।
সেই ইনিংস প্রসঙ্গে রাসেল আরও বলেন, প্রতিটা ছক্কা হাঁকানোর পর শুভমানের কাছে যাচ্ছিলাম। পাঞ্চ করছিলাম। একটা গভীর শ্বাস নিচ্ছিলাম। যেন যতটা সম্ভব শান্ত থাকতে পারি। কারণ চারপাশে তাকানোটা এনার্জি নষ্ট করার পক্ষে যথেষ্ট ছিল।
তথ্যসূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।