আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষের জন্য স্বপ্নের দেশ কানাডা। দেশটিতে পাড়ি দিয়ে সুখের জীবন গড়তে চাওয়া মানুষের সংখ্যা নেহায়েত কম নয়। তবে দেশটির নাগরিকেরাই সেই স্বপ্নের দেশ ছাড়তে শুরু করেছেন। ম্যাকগিল ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অব কানাডার এক গবেষণায় এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
কানাডার সরকারের পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৬ সালে দেশ ছেড়ে অন্যত্র পাড়ি দিয়েছেন ৪০ লাখ মানুষ। যা দেশের মোট জনসংখ্যার প্রায় ১১ শতাংশ। এর কারণ হিসেবে গবেষণায় বলা হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ চাহিদা ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে যাওয়ায় দেশ ছাড়ছেন অনেকে।
কানাডার পরিসংখ্যন অনুসারে, ২০১৭ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত সময়ে দেশটির নাগরিকদের প্রায় ৩১ শতাংশ বিদেশে পাড়ি জমিয়েছেন। গবেষণা প্রতিষ্ঠান ম্যাকগিল জানিয়েছে, নতুন নাগরিকদের ধরে রাখতে পারছে না কানাডা। দেশটিতে আসার চার থেকে সাত বছরের মধ্যে তারা দেশ ছাড়ছেন। ক্রয়ক্ষমতা সাধ্যের বাইরে চলে যাওয়া এর অন্যতম কারণ।
এতে বলা হয়েছে, কানাডার সরকারের বিদেশি ডিগ্রিকে স্বীকৃতি দেওয়ার ব্যাপারে অনমনীয়তা এবং অবাস্তব দৃষ্টিভঙ্গি রয়েছে। ফলে অভিবাসীরা দেশটিতে এসে পছন্দসই চাকরি খুঁজে পায় না। এজন্য তারা ক্যারিয়ার গড়তে হিমশিম খায়।
কানাডার নাগরিকদের মধ্যে প্রায় অর্ধেক অভিবাসী বাবা-মার মাধ্যমে নাগরিকত্ব পেয়েছেন। এছাড়া এক-তৃতীয়াংশ জন্মসূত্রে কানাডার নাগরিক। বাতি ১৫ শতাংশ অন্য দেশে জন্মগ্রহণ করে কানাডার নাগরিকত্ব পেয়েছেন। এসব নাগরিকের দেশ ছাড়ার কারণগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ভ্রমণ, চাকরি এবং পড়াশোনার সুযোগ।
এশিয়া প্যাসিফিক ফাউন্ডেশন অব কানাডার তথ্য বলছে, বিদেশে বসবাসকারী কানাডার নাগরিকদের বেশিরভাগ থাকেন হংকং, যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে। সমীক্ষা বলছে, জনসংখ্যার তুলনায় কানাডার নাগরিকদের বিদেশে বসবাসকারীর সংখ্যা যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে পাঁচগুণ এবং যুক্তরাজ্যের সমান।
কানাডার নাগরিকদের নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি অনুমোদন করেছে বি সি সেন ইউয়েন পাউ উ–এর কার্যালয়। তারা বলছে, দেশ ছেড়ে যাওয়া নাগরিকদের সমর্থনের জন্য কানাডা আরও বেশকিছু করতে পারে। তিনি যুক্তি দিয়ে বলেন, প্রবাসীরা কানাডার কূটনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং অর্থনৈতিক অবস্থানের আরও প্রসার ঘটাতে পারেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।