মহাকাশ নিয়ে আগ্রহী পাঠকেরা ইতিমধ্যেই ১০,০০০,০০০,০০০,০০০,০০০ (বা ১০১৬) ডলারের একটা গ্রহাণুর নাম শুনে থাকবেন। গ্রহাণুটি মূল্যবান ধাতুতে মোড়ানো। ধারণা করা হচ্ছে, এর মূল্য হতে পারে ১০ কুইন্টিলিয়ন ডলার (ওপরে যে বড় সংখ্যাটা দেখেছেন, সেটা)।
ভাবা যায়! এমন গ্রহাণু পৃথিবীতে নিয়ে আসতে পারলে গোটা পৃথিবীর অর্থনৈতিক অবস্থা বদলে যাবে। এই সম্পদ পৃথিবীর সবার মধ্যে ভাগ করে দিলে মোটামুটি সবাই হয়ে যাবেন কোটিপতি। মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা ইতিমধ্যে গ্রহাণুটির উদ্দেশে একটি নভোযান পাঠিয়েছে। তাহলে নাসা তথা যুক্তরাষ্ট্র কি ওই সম্পদের মালিক হতে চায়?
ওরকম গ্রহাণু পৃথিবীতে নিয়ে আসার চিন্তাটা আসলে কষ্টকল্পনা। কোনো গ্রহাণু কোনোদিন পৃথিবীতে নিয়ে আসা যাবে কি না, সে কথা এখনো বলার সময় আসেনি। নাসা বরং গ্রহাণুটি গবেষণা করার জন্য একটি নভোযান পাঠিয়েছে। ‘সাইকি’ নামের সেই নভোযান গ্রহাণুটিতে গিয়ে পৌঁছাবে ২০২৯ সালে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে গ্রহাণুটির উপাদানের মধ্যে রয়েছে লোহা ও নিকেল। একই মৌল রয়েছে পৃথিবীর কোর বা কেন্দ্রে। ফলে ওই গ্রহাণু নিয়ে গবেষণা করে পৃথিবীসহ সৌরজগতের অন্যান্য পাথুরে গ্রহের কোর সম্পর্কে আরও বিস্তারিত ধারণা পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁদের ধারণা, এর মাধ্যমে বোঝা যাবে পৃথিবী প্রায় সাড়ে ৪০০ কোটি বছর আগে কীভাবে গঠিত হয়েছিল।
ওহ, কথায় কথায় এই মূল্যবান গ্রহাণুটির নামই বলা হয়নি। তবে আপনারা হয়তো নভোযানের নাম থেকে গ্রহাণুটির নাম বুঝে ফেলেছেন। ১৬ সাইকি। হ্যাঁ, এই গ্রহাণুতেই রয়েছে স্বর্ণের মতো অতিমূল্যবান সম্পদ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।