ভারতের বিরাট কোহলি, অস্ট্রেলিয়ার স্টিভেন স্মিথ, নিউজিল্যান্ডের কেইন উইলিয়ামসন এবং ইংল্যান্ডের জো রুট। ক্রিকেট দুনিয়াতে বিগত ১ দশক ধরে ঘরে বাইরে যেকোন প্রতিপক্ষের জন্যই এক প্রকার হুমকিই হয়ে ছিলেন এই চার ব্যাটার। ক্রিকেটের ব্যাকরণে এই চারজন হয়ে গিয়েছেন ফ্যাবুলাস ফোর। সংক্ষেপে যাদের ফ্যাব ফোর ডাকা হয়।
২০২১ সালের পর থেকেই চমৎকার চারের ক্যারিয়ার গতিপথ খানিকটা হলেও বদলেছে। ভিরাট নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন সর্বকালের সেরা ওয়ানডে ব্যাটারদের একজন হিসেবে। স্টিভেন স্মিথের ব্যাটে ধার কমেছে কিছুটা। কেইন উইলিয়ামসন টেস্ট ক্রিকেটে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন ভিন্ন মাত্রায়। আবার জো রুট নিজেকে নিয়ে যাচ্ছেন টেস্ট ক্রিকেটের সর্বকালের সেরাদের কাতারে।
চারের মধ্যে কে সেরা তা নিয়ে আলোচনার অবকাশ আছে নিশ্চিতভাবেই। তবে অস্ট্রেলিয়ার নারী দলের অধিনায়ক অ্যালিসা হিলির মতে, এই চারের মধ্যে সবার চেয়ে পিছিয়ে থাকবেন বিরাট কোহলি। কেন থাকবেন সেই ব্যাখ্যাও দিয়েছেন তিনি। আর অজিদের নারী দলের অধিনায়কের মত, ফ্যাবুলাস ফোরের সেরা ব্যাটার নিউজিল্যান্ডের কেইন উইলিয়ামসন।
আটবারের বিশ্বকাপ জয়ী ক্রিকেটার অ্যালিসা হিলি নিজের মন্তব্যের পক্ষে সহজভাবেই বলেছেন, ভারতের হয়ে বিরাট অনেক সঙ্গই পান। তার সোজাসুজি বক্তব্য, শতরান তো রোহিত শর্মা, লোকেশ রাহুল, কিংবা রবীন্দ্র জাদেজাও করেন। ‘লিসেনার স্পোর্টস’ নামক এক পডকাস্টে হিলি শোনালেন এমন ব্যাখ্যা।
হিলির ভাষ্য, ‘এই ফ্যাব ফোরের তালিকাতে যারা রয়েছেন তারা সবাই গ্রেট। অসম্ভব ভালো ক্রিকেটার সকলে। তবে যদি আমি পরিসংখ্যান অর্থাৎ নম্বরের দিক থেকে বিচার করি তাহলে এই চারজনের মধ্যে আমি বিরাটকে সবার শেষে রাখব। প্রচুর সময় ব্যাট হাতে খেলার সুযোগ পায় বিরাট। আর সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে আমাকে তার পরিসংখ্যানের দিকে নজর দিতেই হবে।’
উইলিয়ামসনের পক্ষে কেন ভোট হিলির? তার ব্যাখ্যায় এই অজি নারী বলেন, ‘উইলিয়ামসনের ক্ষেত্রে ওকে গোটা দলের দায়িত্ব বহন করতে হয়। গোটা দলকে ও যেন একা নিজের কাঁধে টানে। বিরাটের সেই অসুবিধাটা নেই। ওকে সাহায্য করার মতন বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার রয়েছে। রোহিত শর্মা শতরান করতে পারে। কেএল রাহুল শতরান করতে পারে। এমনকি (রবীন্দ্র) জাদেজাও পারে। তাই আমি মনে করি উইলিয়ামসন যদি ওই রানগুলো না করত তাহলে ওই ম্যাচগুলো নিউজিল্যান্ড জয়ের ধারে কাছেও যেতে পারত না।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।