যে পদ্ধতিতে মালয়েশিয়া যাচ্ছে ১০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী

যে পদ্ধতিতে মালয়েশিয়া যাচ্ছে ১০ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক

জুমবাংলা ডেস্ক :  এই সপ্তাহে ১০ হাজার বাংলাদেশি কর্মী মালয়েশিয়ায় যাচ্ছেন বিকল্প পদ্ধতিতে। দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ডেপুটি সেক্রেটারি-জেনারেল অপারেশন্স ইনচার্জ খায়ের রজমান মোহাম্মদ আনোয়ার এক বিবৃতিতে বলেছেন, এককালীন ব্যবস্থা হিসেবে সরকার-থেকে-সরকার চুক্তির অধীনে এ কর্মী মালয়েশিয়ায় আসবে।

যে পদ্ধতিতে মালয়েশিয়া যাচ্ছে ১০ হাজার বাংলাদেশি শ্রমিক

এই নিয়োগ প্রক্রিয়ার সাথে ইতোমধ্যে নিযুক্ত ২৫টি বাংলাদেশী রিক্রুটিং এজেন্সির কোনো সম্পর্ক নেই। মূলত উচ্চ অভিবাসন খরচ এড়াতে মালয়েশিয়ান নিয়োগকর্তাদের উৎসাহে এমন ব্যবস্থায় সরকার সম্মতি দিয়েছে। মুখপাত্র বলেন, এটি কেবল বিদেশি কর্মী নিয়োগ ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে করা হয়েছে।

মালয়েশিয়ান এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন (এমইএফ) এবং মালয়েশিয়ান পাম অয়েল অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগ যা সরকার নিশ্চিত করেছে।

এমইএফ সার্কুলার অনুসারে, ১০,০০০ কর্মীদের মধ্যে ৪,২০০ জন এখনও নিয়োগের জন্য অপেক্ষমাণ। মন্ত্রণালয় মোট ২,১০০টি এমইএফ সদস্যদের জন্য বরাদ্দ করেছে।

মালয়েশিয়ার শ্রম ও অভিবাসন বিভাগ, কুয়ালালামপুরে অবস্থিত বাংলাদেশ হাইকমিশন এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সহযোগে সরকারি মালিকানাধীন বৈদেশিক নিয়োগ সংস্থা বাংলাদেশ ওভারসিজ এমপ্লয়মেন্ট অ্যান্ড সার্ভিসেস লিমিটেড (বয়েসেল) এই কর্মী পাঠানোর কাজ করছে।

গত ২০ সেপ্টেম্বর হাইকমিশনারকে দেওয়া এক চিঠিতে বোয়েসেল জানিয়েছে, দুই সপ্তাহের মধ্যে শ্রমিকদের মালয়েশিয়ায় পাঠানো হবে।

গত ১৪ সেপ্টেম্বর মালয়েশিয়ার মন্ত্রিসভা এই নিয়োগ প্রকল্প অনুমোদন করেছে।

গত ডিসেম্বরে কর্মী নিয়োগে মালয়েশিয়া ও বাংলাদেশ একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে। ওই চুক্তির আওতায় গত মাসে মালয়েশিয়া তাদের প্রথম ব্যাচের কর্মী পায়। এজন্য মালয়েশিয়া সরকার ২৫টি বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সি নির্ধারণ করে। অপরদিকে বাংলাদেশের দাবি ২৭৫টি বাংলাদেশি রিক্রুটিং এজেন্সিকে কর্মী পাঠানোর কাজ দিতে। অধিক অভিবাসন খরচের কারণে কর্মী নিয়োগে ধীর গতি এড়াতে বোয়েসেল এর মাধ্যমে কর্মী প্রেরণ অভিবাসন খরচ অনেক কমে যাবে বলে নিয়োগকর্তারা আশা করছেন।

গলায় মাছের কাঁটা বিঁধলে এই নিয়মে দূর হবে মুহূর্তের মধ্যে