Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home যে বীর ছুটে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্য জীবন দেন তার নামে কিছু হয়নি!
    জাতীয়

    যে বীর ছুটে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর জন্য জীবন দেন তার নামে কিছু হয়নি!

    August 16, 20193 Mins Read

    জুমবাংলা ডেস্ক : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে বাঁচাতে গিয়ে ঘাতকদের গুলিতে প্রাণ হারিয়েছিলেন শহীদ কর্নেল জামিল আহমেদ মিঠু। অথচ হতভাগা এই বীরের ভাগ্যে জোটেনি এক টুকরো কাফনের কাপড়। রক্তাক্ত বিছানার চাদর মুড়িয়ে জানাজা ছাড়াই তাকে দাফন করা হয়। অথচ ৭৫ পরবর্তী সময়ে বঙ্গবন্ধুর নিজ হাতে গড়া দল আওয়ামী লীগ চারবার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকলেও কর্নেল জামিলের নামে সেনানিবাস বা এর বাইরে কোনো স্থাপনার নামকরণ হয়নি। এমনকি যে স্থানে জামিলকে হত্যা করা হয়েছিল সেখানেও কোনো স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ হয়নি।

    গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে কর্নেল জামিলের দ্বিতীয় কন্যা আফরোজা জামিল কঙ্কা এ তথ্য জানান।

    Advertisement

    কর্নেল জামিলের মূল্যায়ন প্রসঙ্গে আফরোজা জামিল বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর দীর্ঘ সময় কর্নেল জামিলের আত্মদানকে মূল্যায়ন করা হয়নি। তবে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে কর্নেল জামিলকে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্মরণ করা শুরু হয়। ১৯৯৭ সালে জামিলের পরিবারের উদ্যোগে গঠন হয় কর্নেল জামিল ফাউন্ডেশন। জামিলের বীরত্বপূর্ণ আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানিয়ে ২০০৯ সালে তাঁকে বীর-উত্তম খেতাবে ভূষিত করা হয়। পরে সেনাবাহিনী কর্নেল জামিলকে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল পদমর্যাদা দিয়ে সম্মানিত করে।

    ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরে ৭৫-এর ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িতে কিছু বিপথগামী সেনা সদস্য হামলা চালায়। এই খবরে সেনাপ্রধানসহ প্রভাবশালী কর্মকর্তারা খেই হারিয়ে ফেললেও বঙ্গবন্ধুকে বাঁচাতে ঠিকই এগিয়ে গিয়েছিলেন শহীদ কর্নেল জামিল আহমেদ মিঠু। তিনি তখন রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিবের দায়িত্ব পালন করছিলেন। কিন্তু ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসায় পৌঁছানোর আগেই সোবহানবাগ মসজিদের কাছে গুলি করে হত্যা করা হয় কর্নেল জামিলকে।

    ১৫ আগস্টের স্মৃতিচারণা করে আফরোজা জামিল কঙ্কা বলেন, ১৫ আগস্ট ভোরের দিকে বাবা ও মায়ের উচ্চৈঃস্বরের কথাবার্তায় আমাদের দুই বোনের ঘুম ভেঙে যায়। এগিয়ে গিয়ে দেখলাম মা-বাবা উদ্বিগ্ন। বাবা বিভিন্ন জায়গায় ফোন করছেন। শুনলাম বঙ্গবন্ধু ফোন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে আলাপ শেষে বাবা জানান, ধানমণ্ডিতে বঙ্গবন্ধুর বাসায় হামলা হয়েছে। বাবা সেনাপ্রধানসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলেন। সেনাপ্রধান কে এম সফিউল্লাহ ধানমণ্ডিতে ফোর্স পাঠাবেন বলে বাবাকে আশ্বস্ত করেন। সময় নষ্ট না করে বাবা ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর বাসার দিকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি তার গাড়ির চালক আইনউদ্দিন মোল্লাকে ডেকে গণভবনে অবস্থানরত পিজিআর সদস্যদের ৩২ নম্বরের দিকে এগোনোর খবর দিতে বলেন। এরপর বাবা সিভিল ড্রেসেই বঙ্গবন্ধুর বাসভবনের দিকে রওনা হন। মা একটু ইতস্তত করছিলেন। বাবা বললেন, ‘বঙ্গবন্ধুর বিপদ, আমাকে যেতেই হবে।’ তখন মা বললেন, ‘ফেরার সময় শ্বেতাকে (কর্নেল জামিলের তৃতীয় কন্যা ফাহমিদা আহমেদ শ্বেতা সেদিন মোহাম্মদপুরে খালার বাসায় অবস্থান করছিলেন) নিয়ে এসো।’ বাবার সঙ্গে এটাই ছিল মার শেষ কথা।

    আফরোজা জামিল বলেন, সকাল ৯টার দিকে বাবার গাড়িচালক আইনউদ্দিন বাসায় ফিরে এলো। মা জিজ্ঞেস করলেন, ‘তোমার সাহেবকে কোথায় রেখে এসেছ?’ আইনউদ্দিন কিছু না বলে শুধু কাঁদতে থাকল। জোহরের নামাজের সময় সেনাপ্রধান সফিউল্লাহ ফোনে মাকে বললেন, ‘ভাবি, জামিল ভাই আর নেই।’

    গাড়িচালক আইনউদ্দিনের উদ্ধৃতি দিয়ে আফরোজা জামিল বলেন, বাবা সোবহানবাগ মসজিদের কাছে পৌঁছলে দক্ষিণ দিক থেকে অসংখ্য গুলি আসতে দেখেন। তখন আইনউদ্দিনকে প্রতিপক্ষের অবস্থান জেনে আসতে নির্দেশ দিয়ে কর্নেল জামিল গাড়িতেই বসে থাকেন। আইনউদ্দিন যখন দেয়াল ঘেঁষে ৩২ নম্বরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিলেন, তখন পাঁচ-ছয়জন সেনা সদস্য দৌড়ে জামিলের গাড়ির কাছে যায়। তিনি দুই হাত উঠিয়ে তাদের কিছু বলার বা বোঝানোর চেষ্টা করেন। কিন্তু তারা দুই-তিনটি গুলি করলে কর্নেল জামিল মাটিতে পড়ে যান।

    আফরোজা জামিল বলেন, ঘাতকরা আমাদের বাবার লাশটিও দেখতে দিতে চায়নি। মা তখন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খালেদ মোশাররফ বীর-উত্তমকে অনুরোধ করেন। খালেদ মোশাররফ বঙ্গবন্ধুর খুনি কর্নেল ফারুকের আত্মীয় ছিলেন। খালেদ মোশাররফের হস্তক্ষেপেই বাবার লাশটি আমাদের দেখতে দেওয়া হয়। বাবার মুখটা আমাদের শেষবারের মতো দেখতে দিয়ে লাশটি বনানী কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। পদস্থ সেনা কর্মকর্তা হওয়ার পরও সেদিন কর্নেল জামিলের জানাজা পড়ানো হয়নি, হয়নি কাফনের কাপড়ের ব্যবস্থাও। রক্তাক্ত বিছানার চাদর মুড়িয়ে বাবাকে সমাহিত করা হয়।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    Related Posts
    আলী রীয়াজ

    আশাব্যঞ্জক অগ্রগতির ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকার কথা জানালেন আলী রীয়াজ

    June 29, 2025
    নাহিদ

    অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ, ৩ আগস্ট জুলাই ঘোষণাপত্র দেবে এনসিপি : নাহিদ

    June 29, 2025
    ফেনীতে ট্রেনের ধাক্কায় মা-ছেলে নিহত

    ফেনীতে ট্রেনের ধাক্কায় মা-ছেলে নিহত

    June 29, 2025
    সর্বশেষ খবর
    হাসনাত

    “আমার দিকে পাথর ছুড়লেও, আমি ফুল দিয়ে বুকে টেনে নেব”-হাসনাত আব্দুল্লাহ

    এনসিপির কর্মসূচি

    জুলাই ঘিরে এনসিপির কর্মসূচি ঘোষণা

    আলী রীয়াজ

    আশাব্যঞ্জক অগ্রগতির ক্ষেত্রে পিছিয়ে থাকার কথা জানালেন আলী রীয়াজ

    নাহিদ

    অন্তর্বর্তী সরকার ব্যর্থ, ৩ আগস্ট জুলাই ঘোষণাপত্র দেবে এনসিপি : নাহিদ

    ফেনীতে ট্রেনের ধাক্কায় মা-ছেলে নিহত

    ফেনীতে ট্রেনের ধাক্কায় মা-ছেলে নিহত

    অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান

    অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমান দিচ্ছে চীন, কী বলছে ইরান?

    করোনার পর স্বাস্থ্য সচেতনতা

    করোনার পর স্বাস্থ্য সচেতনতা: নতুন জীবন শুরুর পথ

    আয় বাড়ানোর ৫টি হালাল উপায়

    আয় বাড়ানোর ৫টি হালাল উপায় আপনার চাহিদা পূরণ করবে

    দেশ গড়তে জুলাই

    দেশ গড়তে জুলাই পদযাত্রায় নামছে এনসিপি

    শ্রীপুরে প্রকাশ্যে পিস্তল

    শ্রীপুরে প্রকাশ্যে পিস্তল উঁচিয়ে গুলি ছোঁড়ার ভিডিও ভাইরাল

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.