তুরস্কের আনাতোলিয়ার ক্যামলিকা মসজিদ এমনভাবে নির্মাণ করা হয়েছে যেন তা সবার নজর কাড়তে বাধ্য হয়। ক্যামলিকা পাহাড়ের উপর এই মসজিদটি অবস্থান করছে। অনেকেই মসজিদকে রাষ্ট্রীয় গর্ব এবং জাতীয় পরিচয়ের প্রতীক হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে।
তুরস্কের স্বাধীনতার পর থেকে অটোমান ঐতিহ্য এবং ইসলামের মূলনীতি বাদ দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতাকে অধিক গুরুত্ব দেওয়া হয়। রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে ইসলামী ঐতিহ্য বাদ দিয়ে ধর্মনিরপেক্ষতা যেন কঠোরভাবে চর্চা করা হয় সেরকম বিধি নিষেধ করা হয়েছিল।
এরদোয়ান ক্ষমতা আসার পর থেকে হিজাবের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়। তিনি তুর্কি জাতীয়তাবাদের ধর্মনিরপেক্ষ চেহারাকে ধীরে ধীরে চ্যালেঞ্জ জানানো শুরু করেন। এজন্য ক্যামলিকা মসজিদকে আদর্শ উদাহরণ হিসেবে সামনে আনা যেতে পারে।
এরদোয়ান রাষ্ট্রের মধ্যে অটোমান ও ইসলামী ঐতিহ্যকে নিয়ে আসার অনেক চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এ মসজিদের নির্মাণশৈলী অটোমান এবং তুর্কি জাতির পুরনো ঐতিহ্যের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। উদাহরণ হিসেবে ১০৭১ সালে মানজিকার্ট এর যুদ্ধে বাইজাইনটাইনদের বিরুদ্ধে তুর্কিদের বিজয়ের কথা বলা যেতে পারে।
মসজিদের মূল গম্বুজ ৭২ মিটার লম্বা। এতে করে ৭২টি তুর্কি জাতির কথা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়। পাঁচটি ছোট গম্বুজ দ্বারা ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভকে বোঝায়। আটটি জান্নাতের কথা স্মরণ করে দেওয়ার জন্য মসজিদে আটটি মনুমেন্টাল দরজা রয়েছে।
এর আগে হাজিয়া সোফিয়া মসজিদটি নামাজের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল। এর আগে এটি দীর্ঘদিন ধরে জাদুঘর হিসেবে পরিচিতি পেত। এসব কার্যক্রমের সবকিছুই রাজনৈতিক দল একে পার্টির রাজনৈতিক কৌশলের অংশ হিসেবে মনে করা হচ্ছে।
এরদোয়ান জাতীয়তাবাদের যে রূপ এতদিন ধরে তুরস্কের সামনে দেখিয়ে আসছেন তা সমাজের রক্ষণশীল মানুষদের মন জয় করতে পেরেছে। তবে ক্যামলিকা মসজিদ তুরস্ক ঐতিহ্য ও পুরনো ইতিহাসকে ধারণ করছে তাতে কোন সন্দেহ নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।