আন্তর্জাতিক ডেস্ক : দীর্ঘ এক মাসের চলমান যুদ্ধে অবশেষে জিম্মিদের মুক্ত করতে ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের দ্বারস্থ হচ্ছে ইসরায়েল। যদিও শুরু থেকেই সামরিক পদক্ষেপ ছাড়া কোনো বিকল্প উপায় নিয়ে কোনো আলোচনা করবে না বলে সাফ জানিয়েছিল তেলআবিব। বলা হচ্ছে হামাসের হাতে আটক জিম্মিদের অর্ধেকের কিছু কমসংখ্যক ব্যক্তি বেসামরিক নাগরিক। মূলত তাদের মুক্ত করতেই ফিলিস্তিনি যোদ্ধাদের সঙ্গে আলোচনা করছে নেতানিয়াহু প্রশাসন।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রাথমিকভাবে দুটি প্রস্তাবকে সামনে রেখে হামাসের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। এর একটি প্রস্তাবের আওতায় অল্পসংখ্যক বেসামরিক নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হবে। অন্য একটি প্রস্তাবের আওতায় ১০০ বা তার বেশিসংখ্যক বেসামরিক বন্দিকে মুক্তি দেবে ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা। এই আলোচনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে এসব তথ্য জানায় নিউইয়র্ক টাইমস।
গত ৭ অক্টোবর গাজা সীমান্তবর্তী ইসরায়েলের বেশ কয়েকটি অঞ্চলে সামরিক অভিযান চালায় হামাস। এ সময় প্রায় আড়াইশ’ ব্যক্তিকে বন্দি করে প্রতিরোধ যোদ্ধারা। যার মধ্যে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সদস্য ছাড়াও রয়েছেন উল্লেখযোগ্যসংখ্যক বেসামরিক নাগরিক। এসব বেসামরিক বন্দিদের মধ্যে বিভিন্ন দেশের নাগরিকও রয়েছে বলে জানা যায়।
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার অংশ হিসেবে প্রাথমিকভাবে ১০-২০ জন বন্দিকে মুক্তি দিতে পারে প্রতিরোধ যোদ্ধারা। এদের মধ্যে ইসরায়েলি নারী, শিশুসহ বিদেশি বন্দিরা থাকার সম্ভাবনা রয়েছে। গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হলে এ প্রস্তাব বাস্তবায়ন করবে হামাসসহ অন্যান্য প্রতিরোধ যোদ্ধারা। পরবর্তীতে স্থায়ীভাবে যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হলে বাকি বেসামরিক বন্দিদের মুক্তি দেওয়া হবে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র।
ইসরায়েলি কর্মকর্তারা জানান, বেসামরিক বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে হামাস স্থায়ী যুদ্ধবিরতি ছাড়াও গাজায় আরও বেশি ত্রাণ সহায়তা, হাসপাতালগুলোর জন্য পর্যাপ্ত জ্বালানি এবং ইসরায়েলি কারাগারে আটক ফিলিস্তিনি নারী ও শিশুদের মুক্তির প্রস্তাব দিয়েছে। যদিও ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে কোনো প্রকার নিশ্চয়তা দিতে পারেনি ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীতে যোগদানে সক্ষম কোনো পুরুষকে বন্দিদশা থেকে মুক্তি দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে হামাস।
জানা যায়, মধ্যপ্রাচ্যের রাষ্ট্র কাতারের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এতে যুক্তরাষ্ট্রের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারাও জড়িত আছেন বলে জানায় মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি। মার্কিন কর্মকর্তারা গাজায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিতে ইসরায়েলি হামলা বন্ধের পক্ষে মতামত দিয়েছেন বলে প্রতিবেদনে উঠে আসে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।