জুমবাংলা ডেস্ক: দিনাজপুরের কাহারোল উপজেলার ঢাকা-দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও মহাসড়কের পাশে উত্তরবঙ্গের সর্ববৃহৎ কলার হাট দশ মাইল। কাহারোলসহ পাশ্ববর্তী উপজেলাগুলোতে চাষের উপযোগী জমি থাকায় কলার আবাদ দিন দিন বাড়ছে। এখানকার কলা স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে পাঠানো হচ্ছে রাজধানীসহ সারাদেশে। বর্তমানে বাজারে কলার দাম বেশি থাকায় চাষে ঝুকছেন কৃষকরা।
কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে কাহারোল উপজেলায় ৩২৫ হেক্টর জমিতে কলা চাষ করা হয়েছে। কৃষকেরা অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি কলা নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন। শনিবার ২০ আগস্ট সকাল ৯টায় দেখা গেছে, দশ মাইল হাটে ব্যস্ত সময় পার করছেন কলা চাষি ব্যবসায়ী ও পাইকাররা। বাজারজুড়ে সারি সারি কলার কাঁদি সাজানো হয়েছে।
কাহারোল উপজেলার নয়বাদ গ্রামের কলা চাষি অনিল চন্দ্র রায় জানান, তিনি এবার ১ বিঘা জমিতে কলা চাষ করেছেন, দশ মাইল হাটে ১০০ কলার কাঁদি নিয়ে এসেছেন, বিক্রি করেছেন ৪৫ হাজার টাকায়।
অপর কলা চাষি জলিল বিক্রি করেছেন প্রতিটি কলার কাঁদি ৩৯০ টাকা করে। ভালো মানের কলার দাম বেশি রয়েছে বলে জানান ঢাকা থেকে আগত কলা ব্যবসায়ী মো. রইস উদ্দীন তালুকদার। ভালোমানের কলার দাম ভালোই রয়েছে। অপর ব্যবসায়ী মো. জালাল উদ্দীন এসেছেন ফেনী থেকে। তিনি বলেন, ১ মাস আগে কলার দাম আরও বেশি ছিল।
দশ মাইল কলার হাটে বীরগঞ্জ, পীরগঞ্জ, খানসামা, সেতাবগঞ্জ, বিরল ও সৈয়দপুর হতে দশ মাইল হাটে বিক্রি করার জন্য চাষিরা কলা নিয়ে আসেন। শ্রাবণের শুরু থেকে কার্তিক মাসের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত কলা বিক্রির সময়। বিভিন্ন এলাকা থেকে ভ্যান, পিকাফ ও নসিমনে করে এ হাটে বিক্রির জন্য কলা আনেন। ভোর থেকে কলার হাটে কেনাবেচা শুরু হয়, চলে সকাল ১০টা পর্যন্ত । ক্রয় শেষে ব্যবসায়ীরা ট্রাকযোগে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় কলা বিক্রয়ের জন্য নিয়ে যান।
দশমাইল কলার হাটের শ্রমিক এরশাদুল জানান, এই হাটে প্রতিদিন ট্রাক লোড করে ৮-৯ শত টাকা রোজগার করতে পারি। এখানে ৬০-৭০ জন শ্রমিক কাজ করেন।
কাহারোল উপজেলার ৫ নম্বর সুন্দরপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মো. নাসিরুল ইসলাম বলেন, ‘এই হাটে প্রতিদিন প্রায় ৮০ লাখ টাকার কলা বেচাকেনা হয়। আরও যদি কৃষকদের চাষে উদ্বুদ্ধ করা হয়, তাহলে কোটি টাকা ছাড়িয়ে যাবে কলা বেচাকেনা।’
এব্যাপারে কাহারোল উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের কৃষি কর্মকর্তা কৃষি বিদ আবু জাফর মো. সাদেক বলেন, ‘কলা একটি লাভজনক ফসল। কলা চাষের জন্য কৃষকদের সব প্রকার সহযোগিতা করা হচ্ছে এবং কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে সব প্রকার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।