শিল্প বিপ্লবের সময় অনেকে ধারণা করেছিলেন যে যন্ত্রের আবিষ্কারের ফলে মানুষ চাকুরি হারবে। কিন্তু এরকমটি ঘটেনি। মানুষের হাতেই ছিল কল-কারখানা পরিচালনার দায়িত্ব। তবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অসামান্য উদ্ভাবনের ফলে একই সমস্যা আবার দেখা দিয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, মানুষের চাকুরির বাজারের একটা বড় অংশ দখল করবে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।
যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপে অটোমেশনের ফলে ৩০০ মিলিয়নের বেশি চাকরি এআই এর দখলে চলে যেতে পারে। এআই এর প্রভাব শুধু ব্যক্তি পর্যায়ে পড়বে বিষয়টি এমন নয়। বরং পুরো অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় প্রয়োগের জন্য এটিকে তৈরি করা হয়েছে।
তিন ধরনের চাকুরি রয়েছে যেখানে এয়াই থেকে মানুষের আধিপত্য বেশি থাকবে। প্রথমত যেসব কাজ সত্যিকারের অর্থেই সৃজনশীল। সূত্র থেকে নয় বরং নিজের আইডিয়া থেকে নতুন কিছু তৈরি করতে হয়। তবে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মত কাজে সৃজনশীলতা প্রয়োগ করার সুযোগ থাকলেও এটির বাজার এআই দখল করতে পারে।
বিজ্ঞান, মেডিসিন, আইন ও ব্যবসার কৌশলে নিরাপত্তা বিষয়টি রয়েছে বলে এখানে মানুষের প্রাধান্য থাকবে। দ্বিতীয়ত যেসব চাকুরিতে খুবই প্রাণবন্তভাবে অন্য ব্যক্তির সাথে একটি কার্যকরী সম্পর্কে বজায় রাখতে হয়।
নার্স, ব্যবসায়িক পরামর্শ, অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা ইত্যাদির কথা বলা যেতে পারে। ব্যক্তিকে খুবই গভীরভাবে পর্যালোচনা করতে হয় এমন সব চাকুরিতে মানুষের প্রাধান্য থাকবে। তৃতীয়ত যেসব চাকুরিতে খুবই অপ্রকাশিত ও কঠিন পরিবেশে দক্ষতার সাথে জটিল সব সমস্যার সমাধান করতে হয়।
যেমন বিদ্যুৎ, গ্যাস এবং জ্বালানি সম্পর্কিত কাজ এর কথা বলা যেতে পারে। এসব জায়গা অটোমেশনের আওতায় আনা বেশ কষ্টসাধ্য। চিকিৎসকের সর্বোপরি যেসব ভূমিকা সেটি এআই দ্বারা প্রতিস্থাপন করা সম্ভব নয়। বর্তমানে এর কারণে এসব চাকুরি মানুষের হারানোর কোন সম্ভাবনা নেই।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।