দিনের বিভিন্ন সময়ে দেহে কর্টিসলের পরিমাণ ওঠানামা করে। দিনের শুরুতে সাধারণত কর্টিসলের পরিমাণ বেশি থাকে এবং দিনের শেষ ভাগে সবচেয়ে কম। বেশির ভাগ গবেষণায় উঠে এসেছে যে স্বাভাবিক অবস্থায় সকাল ৬টা থেকে ৮টা পর্যন্ত প্রতি ডেসিলিটার রক্তে ১০-২০ মাইক্রোগ্রাম কর্টিসলের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়, যা বিকেল ৪টার পরে ৩-১০ মাইক্রোগ্রামে নেমে আসে। ফলে দিনের শেষ ভাগে আমরা ক্লান্ত অনুভব করি। রক্তে কর্টিসলের মাত্রা অতিরিক্ত কম বা বেশি হলে বিভিন্ন ধরনের শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
রক্তে কর্টিসলের মাত্রা বেশি থাকলে—
* হুট করে ওজন বেড়ে যায়, বিশেষ করে তলপেটে ও মুখে
* ঘাড়ে চর্বি জমে যায়
* তলপেটে হালকা বেগুনি রঙের স্ট্রেচ মার্ক দেখা যায়
* বাহু ও ঊরু দুর্বল হয়ে পড়ে
* রক্তে চিনির পরিমাণ বেড়ে যায়, যা ধীরে ধীরে টাইপ-২ ডায়াবেটিসে রূপ নিতে পারে
* উচ্চ রক্তচাপ দেখা দেয়
* অনাকাঙ্ক্ষিত জায়গায় অতিমাত্রায় চুল গজায় অপর দিকে রক্তে কর্টিসলের মাত্রা কম থাকলে—
* বমি বমি ভাব দেখা দেয়
* অনাকাঙ্ক্ষিতভাবে ওজন হ্রাস পায়
* রুচি নষ্ট হয়ে যায়
* নিম্ন রক্তচাপ দেখা দেয়
রক্তে কর্টিসলের মাত্রা কম বা বেশি হলে যে ধরনের সমস্যা হতে পারে রক্তে কর্টিসলের অতিরিক্ত বেশি বা কম পরিমাণে থাকা, দুটোই নানা সমস্যার জন্ম দেয়। তবে অনেকেই যেহেতু কর্টিসল সম্বন্ধে জানেন না, হুট করে কোনো স্পষ্ট কারণ ছাড়াই বিভিন্ন শারীরিক পরিবর্তন দেখে হতাশ হয়ে পড়েন। তাই কর্টিসলের ওঠানামায় কী কী সমস্যা দেখা দেয়, তা জেনে রাখা ভালো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।