জুমবাংলা ডেস্ক : নাটোরের বাগাতিপাড়ায় পালিয়ে রক্ষা পেলেন বর ও বরের লোকজন। তবে জরিমানা গুনতে হলো কনের বাবাকে। রোববার রাতে উপজেলার সদর ইউনিয়নের স্বরুপপুর জামাইপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ইউএনও) হস্তক্ষেপে রেশমি খাতুন নামের এক ছাত্রীর বাল্যবিয়ে বন্ধ হয়েছে।
ছাত্রী রেশমি খাতুন উপজেলার সদর ইউনিয়নের স্বরুপপুর জামাইপাড়া গ্রামের শামিম হোসেনের মেয়ে। সে স্থানীয় সাইলকোনা ল্যাবরেটরি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে উত্তীর্ণ হয়েছে।
জানা গেছে, জেলার পার্শ্ববর্তী উপজেলা লালপুরের আব্দুলপুরের ছেলের সঙ্গে কনে রেশমি খাতুনের বিয়ে ঠিক করেন পরিবারের লোকজন। সেই মোতাবেক রোববার বিয়ের আয়োজন সম্পন্ন হয়। বরসহ বরপক্ষের লোকজনও কনের বাড়িতে আসে। খবর পেয়ে ইউএনও নিলুফা সরকার কনের বাড়িতে হাজির হন।
টের পেয়ে বরসহ বরপক্ষের লোকজন পালিয়ে যান। পরে সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অপ্রাপ্ত হওয়ায় রেশমি খাতুনের বিয়ে বন্ধ করে দেন। কনের অভিভাবকদের কাছ থেকে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে না দেওয়ার মুচলেকা নেন। এছাড়াও বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে কনের বাবাকে ৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন।
এ বিষয়ে ইউএনও নিলুফা সরকার বলেন, কনের বয়স ১৬ বছর হওয়া সত্ত্বেও কনেপক্ষ ভুয়া জন্মসনদ তৈরি করে বিয়ের প্রস্তুতি নিয়েছিল। সে কারণে বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।