আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট সন্দেহ করছে যে, মদিনার ডেটস এন্ড নাটস নামক ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান অর্থ পাচার করেছে। কেননা তারা দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে ৩২ হাজার কেজি কমলা আমাদের দেশে আমদানি করেছে। সেখানে তারা দুই লাখ চল্লিশ হাজার ডলার দাম দেখিয়েছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে কমলার দামের সাথে তুলনা করলে এটি অস্বাভাবিক। তারা কমলার দাম কেজিতে ৮০০ টাকা উল্লেখ করেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে দেখলে তা ১৮০ থেকে ২০০ টাকার মধ্যে হবে। এ প্রতিষ্ঠানের মালিক হচ্ছে নজরুল ইসলাম মজুমদারের জামাতা মোজাম্মেল হোসেন।
আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট আরো জানায় যে, তিনি জালিয়াতের সব ধরনের পন্থা অবলম্বন করেছেন। তিনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে রপ্তানি করেছেন বলে উল্লেখ করলেও সে টাকা দেশে আসেনি। ট্রেড লাইসেন্স অনুযায়ী যে ঠিকানা দেওয়া হয়েছে সেখানে তাদের কোন কার্যালয় দেখা যায়নি। বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী এটি ফৌজদারী অপরাধের মধ্যে পড়ে।
নজরুল ইসলাম মজুমদারের একটি প্রতিষ্ঠানের নাম ফিরোজা গার্মেন্টস। ২০১২ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত তারা রফতানি আদেশ পায় ১১৯ কোটি ৮২ লাখ ডলারের। এরমধ্যে, ১১৮ কোটি ৬৬ লাখ ডলার দেশে এলেও আসেনি বাকি ১১ লাখ ৫৫ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১৪ কোটি টাকা। এ অর্থ পাচার করা হয়েছে বলে ধারণা আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থার।
বিষয়টি নিয়ে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) সাবেক মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ চৌধুরী বলেন, রফতানি হয়েছে কিন্তু সেই অর্থ দেশে আসেনি। এটি তো আরও বড় ধরনের অপরাধ। এগুলো তদন্ত হওয়া দরকার। তিনি কোন কোম্পানির কাছে রফতানি করেছেন, তার সাথে কোম্পানিগুলোর যোগসাজশ আছে কিনা সেসব খোঁজ নিতে হবে।
অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু নাসের রখতিয়ার আহমেদ বলেন, এমন জালিয়াতি একা করা সম্ভব নয়। তার সাথে সহায়ক হিসেবে যারা ছিল তারা নিশ্চয় সহায়তা করেছে। রাজনৈতিক নেতা, যাদের নজরদারি করার কথা কিংবা ব্যাংক সবারই এখানে সম্পৃক্ততা থাকতে পারে।
বিএফআইইউর রিপোর্টে বলা হয়েছে, ফিরোজা গার্মেন্টস যে পণ্য ১৭ ডলারের বেশি দরে রফতানি করছিল, মাত্র চার মাস পর একই পণ্য একই কোম্পানির কাছে রফতানি করেছে মাত্র ৬ ডলার দরে। যেটি সন্দেহজনক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।