রমজান মাসে বাজারে মসলার চাহিদা বেড়ে যায়। কেননা ইফতারির সময় বিভিন্ন খাদ্যপণ্য রান্না করার ক্ষেত্রে গরম মসলার অনেক দরকার হয়। সেক্ষেত্রে এলাচ, জিরা, ধনিয়া, মরিচ, হলুদ এসব বেশি পরিমাণে রান্নাঘরে মজুদ করতে হয়। এজন্য আমাদের দেশে বাজারে যেন মসলার সংকট না হয় সেজন্য রোজার দুই-এক মাস আগে থেকেই পণ্য আমদানি করা হয়।
মসলার উৎপাদন ভালো হয় আফগানিস্তান, তুরস্ক এবং ভারতে। এখান থেকেই আমাদের দেশে মসলা আমদানি করা হয়। বাজারে পর্যাপ্ত পরিমাণ মসলার সরবরাহ রাখা হয়েছে। ক্রেতারা অলরেডি মসলা ক্রয় করে মজুদ রাখা শুরু করেছেন। কেজিতে দুশো টাকা দরে জিরা ক্রয় করা যাচ্ছে। শুকনো মরিচের দাম আগের থেকে কমে এসেছে। হলুদ আর ধনিয়া ক্রয় করতে হলে কেজিতে ২০০ টাকা খরচ করতে হবে।
তবে এলাচের দাম শুনলে চোখ কপালে উঠবে। ৩২শ’ টাকার পণ্য এখন সাড়ে চার হাজার টাকা। গত ৩ মাসে পণ্যটি আমদানি হয়েছে গড়ে ২শ’ টন করে, যা নিয়মিত পরিমাণের অর্ধেক।
আমদানি কমার খবর মিলছে স্থলবন্দরেও। বলা হচ্ছে, রাজনৈতিক টানাপোড়েনে এলসি খোলা নিয়েই জটিলতা ছিল। তার মধ্যে মড়ার ওপর খাড়ার ঘা হয়েছে ডলারের বাজার। তার ওপর প্রধান উৎপাদনকারী দুটি দেশে ফলন কম হওয়ায় ইদানিং এলাচের বুকিং রেট বেড়েছে। অনেক পণ্য আসছে চোরাই পথেও।
রোজা ও ঈদের আগে বাজারে স্বস্তি ফেরাতে এলাচসহ কয়েকটি মসলার আমদানি শুল্ক সমন্বয়ের কথা ভাবছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।