বাজারে এখনও সয়াবিন তেলের সংকট রয়ে গেছে। দোকানিরা মনে করে যে, সিন্ডিকেটের কারণেই এই সংকট তৈরি হয়েছে। কোথাও সয়াবিন তেল মিললেও অতিরিক্ত অর্থ খরচ করতে হচ্ছে। এর ফলে সাধারণ মানুষ ভোগান্তির মধ্যে রয়েছে। মাছের দাম আগের থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে।
তবে মাংসের দাম কিছুটা হ্রাস পেয়েছে। শসা এবং লেবুর দাম আগের মতই উর্ধ্বমুখী। তবে আপনি মসলা, সবজি, পেয়াজ, বা আলু ক্রয় করতে চাইলে আগের দামেই করতে পারবেন। রাজধানীর বাজারের চিত্র অনেকটা এরকমই। সয়াবিন তেল এবং খেজুরের উপর থেকে শুল্ক হ্রাস করেছে সরকার। কিন্তু সাধারণ ক্রেতারা তার সুফল পাচ্ছে না। সয়াবিন তেলের আমদানি বৃদ্ধি পেলেও সংকট অব্যাহত রয়েছে।
রমজান মাসে মাছের চাহিদা কমেছে। কিন্তু দামে এর কোন প্রভাব নেই। বরং উল্টো চিত্র। গত সপ্তাহের তুলনায় বেশিরভাগ মাছের দামে কেজিতে ৪০-৫০ টাকা বেড়েছে। বিক্রেতাদের দাবী, ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা থাকায়, সাগরের মাছের যোগন কমেছে। আকারভেদে ৮শ’ থেকে ১২শ’ টাকা কেজির নীচে মিলছে না চিংড়ি মাছ। আইড়-বোয়ালসহ বিভিন্ন নদ-নদীর মাছের জন্য দিতে হবে ৬শ’ থেকে ৮শ’ টাকা কেজি। আকারভেদে চাষের রুই-কাতলা মিলছে সাড়ে ৩শ’ থেকে সাড়ে ৪শ’ টাকা কেজিতে।
দাম কমেছে গরু ও খাসির মাংসের। রোজার আগে হঠাৎ করে চড়ে যাওয়া খাসির মাংসের দাম কেজিতে ২শ’ টাকা কমে মিলছে ১১শ’ টাকায়। একই চিত্র গরুর মাংসের দোকানেও। কেজিতে ৫০ টাকা কমে বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৭শ’ টাকা কেজিতে।অপরিবর্তিত রয়েছে মুরগির বাজারের দর। ব্রয়লার মুরগির জন্য দিতে হবে ২শ’ টাকা কেজি। আর লেয়ারের জন্য গুণতে হবে ৩শ’ টাকা।
ছোলার দামও কেজিতে ১৫ টাকার মতো কমে ১০৫ থেকে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আর চিড়া, মুড়ি, গুড় প্রভৃতি পণ্যের দাম আগের মতোই রয়েছে। মানভেদে প্রতি কেজি চিড়া ৭০ থেকে ৮০ টাকা, আখের গুড় ১৪০ থেকে ১৮০ টাকা, খেজুরের গুড় ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা ও মুড়ি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আগের চড়া দরেই স্থিতিশীল মিনিকেট ও নাজিরশাইলের দাম। ব্যবসায়ীদের দাবি, ভারত থেকে আমদানির প্রভাব পড়েনি বাজারে। কেননা যৌক্তিক দামে একই মানের চাল আনা যায়নি। এছাড়া কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা, ভালো লেবু প্রতি হালি ৮০ থেকে ১০০ টাকায় এবং ধনেপাতা প্রতি কেজি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।