লাইফস্টাইল ডেস্ক : রোজের পাতে রসুন রাখলে একাধিক রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তাছাড়া যে কোনও রান্নায় রসুন দিলে খাবারের স্বাদও বেড়ে যায় দ্বিগুণ। কিন্তু রসুনের খোসা ছাড়ানো বেশ ঝক্কির।
রসুনের খোসা ছাড়াতে বেশ সময় যায়। গরম জলে ভিজিয়ে বা থেঁতো করে রসুনের খোসা সহজেই ছড়িয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু এই খোসাগুলো কী করেন? ফেলে দেন? এবার আর ফেলবেন না।
রসুনের মতোই এর খোসাও হেঁশেলের বিভিন্ন কাজে লাগে। তাছাড়া রসুনের খোসায় অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল, অ্যান্টিফাঙ্গাল উপাদান রয়েছে। তাই রসুনের খোসা ফেলে না দিয়ে কাজে লাগান বিভিন্ন উপায়ে।
একসঙ্গে অনেকটা পরিমাণ রসুনের খোসাগুলো গুঁড়ো করে নিন। এরপর কাজের জারে অলিভ অয়েলের সঙ্গে রসুনের খোসার গুঁড়ো মিশিয়ে দিন। এবার এই কাচের জার রোদে বসিয়ে রাখুন। কয়েক দিনের মধ্যে তৈরি হয়ে যাবে রসুনের তেল।
রসুনের খোসা দিয়ে নুন বানাতে পারেন। সিশন সল্ট বানিয়ে রাখলে আপনি যে কোনও রান্নায় ব্যবহার করতে পারবেন। রসুনের খোসা গুঁড়ো করে নুনের সঙ্গে মিশিয়ে দিন। তৈরি রসুনের নুন। এই নুন খাবারে ব্যবহার করলে স্বাদ বাড়বে।
বাড়িতে ভিনিগার বানাতে চাইলে ব্যবহার করতে পারেন রসুনের খোসা। সাধারণত বাড়িতে ভিনিগার বানানোর জন্য কাঁচা লঙ্কা ও পেঁয়াজ ব্যাবহার করা হয়। এর সঙ্গে রসুনের খোসাও ভরে রাখুন ভিনিগারের জারে। এই ভিনিগার আপনি রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন।
ঋতু পরিবর্তনের মুখে রসুন খেলে জ্বর-সর্দির হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। একই কাজ করে রসুনের খোসাও। রসুনের খোসা গরম জলে ফুটিয়ে নিন। এই চা আপনাকে ঠাণ্ডা লাগার উপসর্গ থেকে মুক্তি দেবে। কাঁচা রসুন খেতে না পারলে এই উপায়ে চা খেতে পারেন।
স্যুপে রসুনের খোসা ব্যবহার করতে পারেন। রসুনের খোসা পরিষ্কার করে গুঁড়ো করে নিন। রসুনের খোসার গুঁড়ো কাচের জারে সংরক্ষণ করুন। স্যুপ রান্নার সময় উপর দিয়ে ছড়িয়ে দিন রসুনের খোসার গুঁড়ো। এটি আপনার স্যুপের স্বাদ ও উপকারিতা বাড়িয়ে দেবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।